প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৬ মে, ২০২০, শনিবার
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সারাবিশ্বেই আশার আলো নিয়ে এসেছে প্লাজমা থেরাপি। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের অধীনে আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো প্লাজমা থেরাপির উদ্দ্যেশ্যে প্লাজমা সংগ্রহ কার্যক্রম।
কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে সংগৃহীত প্লাজমা করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রয়োগের উদ্দেশ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালিত হবে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইথিক্যাল রিভিউ কমিটি কর্তৃক ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. দিলদার হোসেন বাদল (রামেক-৩৮তম ব্যাচ ) এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনেস্থেশিওলজি বিভাগের ডা. পিয়াস (স্যাসমেক-৩৪ তম ব্যাচ)। করোনা থেকে সুস্থ হয়েই তাদের শরীর থেকে তারা প্লাজমা দান করলেন যা ব্যবহৃত হবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়। সন্ধ্যানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজকে এই দুই করোনাজয়ী চিকিৎসকের নিকট থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। আজকের প্লাজমা সংগ্রহ কার্যক্রমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. নাসির উদ্দিন, হেমাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাশফিয়া ইসলাম সহ বিভাগের অন্যান্য চিকিৎসক বৃন্দ এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল থেকে প্রতিদিন করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীরা সেরে ওঠার ১৪ দিন অতিবাহিত হলে প্লাজমা দানের জন্য সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ কিংবা ঢামেক ট্রানফিউশন মেডিসিন বিভাগে যোগাযোগের মাধ্যমে প্লাজমা দান করতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিরদাউস আলম