বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
দেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাস ও আগামী প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর বৃদ্ধি ও প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস ও তামাক কর বৃদ্ধির দাবিতে ছাত্র-তরুণ সমাবেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়।
![](https://www.platform-med.org/wp-content/uploads/2025/02/image-178398-1739361866-1-525x315.jpg)
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ইউআইটিএস, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্স, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা তামাকজনিত মৃত্যু ও তামাকের ব্যবহার কমাতে, প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাস ও কার্যকরভাবে উচ্চহারে তামাক-কর বৃদ্ধির জোড়ালো দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমানে দেশের ৪৮ শতাংশই তরুণ জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে ৯ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ তামাক সেবন করে। তামাক কোম্পানীর নানা রকম অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে কিশোর-তরুণেরা। আইনের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্য প্রদর্শনীর নাম করে কৌশলে বিজ্ঞাপণ প্রচার করছে। আর এসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা শিশু-কিশোরদেরকে টার্গেট করছে। এতে তামাকের প্রতি শিশু-কিশোর ও তরুণরা আকৃষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও, বিগত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই অনুপাতে তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়েনি। বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির হার পার্শ্ববর্তী দেশেরগুলোর চাইতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম। প্রতিবছর তামাকজাত দ্রব্যের নামমাত্র মূল্যবৃদ্ধি দরিদ্র ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে কোনভাবেই সিগারেটে নিরুৎসাহিত করবে না। অন্যদিকে দাম বাড়লে ভোক্তারা সহজেই নিচের ধাপে নেমে আসে। এতে সস্তা সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায় ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যায় বহুগুণে। তাই আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কার্যকরভাবে উচ্চহারে তামাকপণ্যের কর বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তরুণরা।