বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। এই আইন বাস্তবায়ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাকপণ্যের উপর শক্তিশালী আইন প্রণয়নের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টি টোবাকো ক্লাব এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে তামাকপণ্যে ব্যবহারের ফলে মৃত্যুহার এতো বেশি যা আসলেই দুঃখজনক। বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে যে কর আদায় হয় তা ঝালাই করে মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। আমরা তামাকপণ্যের কর পেয়ে থাকি প্রতি বছর ২২ হাজার কোটি টাকা, যা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত তামাকপণ্যে ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর স্বাস্থ্য খাতে সরকারের খরচ হয় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা আমাদের অজানা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে এবং এই আইন বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এদিকে স্মারকলিপি প্রদানকালে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩৫.৩ শতাংশ মানুষ তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে থাকে। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে (টোব্যাকো অ্যাটলাস ২০২০)। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের আর্থিক ক্ষতি (চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হারানোসহ) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা (বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, ২০১৮)। সার্বিকভাবে তামাক ব্যবহারের এই চিত্র বিপজ্জনক। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করে আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটিকে সংশোধন করা অত্যন্ত জরুরি।
প্ল্যাটফর্ম/