আজকের বিশ্বে হাতের মুঠায় স্থান পাওয়া মুঠোফোন মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি।এই শক্তি ব্যবহার করেই যক্ষা রোগের পরীক্ষা করা সম্ভব।যে রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ১০লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে।
হ্যাঁ! এই অবিশ্বাস্য বিষয়কেই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের আঞ্জেলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। তারা আবিষ্কার করেছেন এমন এক মোবাইল অ্যাপ যা দিয়ে পরীক্ষা করা যাবে যক্ষা রোগ।
কফ একটা বায়ো সেন্সর এর উপর ফেলে সেইটার কালার কোড চেঞ্জ মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ডিটেক্ট করে এপস এর মাধ্যমে দেখা হবে। ম্যানুয়াল কালার চেঞ্জ এর জায়গায় এপস ইউজ করে মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে কালার ডিটেকশন করাই এপসটির কাজ।
ছবি তোলার পর এই এপ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই ছবি এনালাইসিস করে বলে দিবে এতে যক্ষার এন্টিবডি আছে কিনা,অর্থাৎ ওই ব্যক্তির যক্ষা হয়েছে কিনা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন ৯৮.৪% নির্ভুল ফলাফল দিবে এই এপ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে সুযোগ সুবিধা নেই যক্ষার পরীক্ষা- নিরিক্ষা করার, সেখানে এই এপ ব্যবহার করা যাবে।কারণ এটা ব্যবহার করতে প্রয়োজন হবে না কোন ইন্টারনেট কানেকশনের, প্রয়োজন হবে না কোন বার্তি হার্ডওয়ারের।
আঞ্জেলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আলমগীর হোসেন (ছবি) ‘এক্সপার্ট সিস্টেম উইথ এপ্লিকেশন ‘ নামক জার্নালে বলেনঃ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে যক্ষা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি,এখানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরীক্ষা করার জন্য,মালয়েশিয়ার সাথে যৌথভাবে এই এপ বানানো হয়।
ডাক্তারের পরিবর্তে এটা ব্যবহার করা যাবে না।বরং অ্যাপ থেকে যক্ষা হয়েছে জানার পর দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রফেসর আলমগীর হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক বছর। বর্তমানে, আঞ্জেলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভবিষ্যতে অ্যাপটি অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যবহারে আসতে পারে।এটি বানাতে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হয়েছে।নিউটন ফান্ড এবং নিউটন-আংকু ওমার ফান্ড আর্থিক ভাবে সহায়তা করেছে।
অ্যাপটি আগামী ২ বছরের মধ্যে বাজারে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার: উর্বী সারাফ আনিকা
৫ম বর্ষ
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ।
antibody detection will not necessarily indicate that the person is suffering from active disease.