শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২৪
গত তিন মাসে (২০২৪ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর) হামলার শিকার হয়েছেন ২০ জন চিকিৎসক। এদের মধ্যে অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকসহ বিভিন্ন পদের চিকিৎসক রয়েছেন।
দেশের ৭ জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল, নাটোর, বাগেরহাট, পঞ্চগড়, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, নীলফামারি, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলায় কর্মরত ২০ চিকিৎসক ঘটনার শিকার হয়েছেন।
অক্টোবরঃ
মাসের শুরুতেই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজন কর্তৃক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় কর্তব্যরত চিকিৎসককে। ০২ অক্টোবর বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে তিন চিকিৎসককে মারধর করে একদল দুর্বৃত্ত।
১৩ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ আহমেদকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে। একইদিনে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হামলার শিকার হয়ে আহত হন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেকুল ইসলাম।
১৫ অক্টোবর রাতে চিনতে না পারায় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলামকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত অবস্থায় নিজ কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিয়ে মারধর করে মো. হিটলু নামের এক নেতা।
১৭ অক্টোবর ঘুমের ওষুধ না দেয়ায় পঞ্চগড় মকবুলার রহমান ডায়াবেটিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফজলে হাসান সিদ্দিকী নাঈমের উপর হামলা করে এক রোগী। মাসের শেষদিনে (৩১অক্টোবর) রাজধানীর ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের একজন অধ্যাপক ও অনারারি মেডিকেল অফিসার মারধর ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকায় এক বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ৩ জন চিকিৎসক হামলার শিকার হয়েছেন।
নভেম্বরঃ
১৯ তারিখ নীলফামারির ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার চিকিৎসককে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হয়।
ডিসেম্বরঃ
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
পরবর্তীতে ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
সব শেষে ২৬ ডিসেম্বর দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ (দিমেক) হাসপাতালের গাইনী এন্ড অবস্ বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ৩ চিকিৎসক হামলার শিকার হয়েছেন।
প্ল্যাটফর্ম/