তথ্য ও ছবি ঃসামির খান, Tehran University Medical College . Former Head of the Department , Faculty of IELTS at GRE Center (Promoting Bangladeshi Scholars to USA)
ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁঞা সম্প্রতি তেহরান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্স (টুমস) পরিদর্শন করেন। টুমসের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আলী আরবখেরাদমান্দের আমন্ত্রণে ২৪ জুলাই এ পরিদর্শনে যান তিনি।
রাষ্ট্রদূতের সম্মানে তেহরান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তার কার্যালয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। মধ্যাহ্ন ভোজের আগে সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ভাইস চ্যান্সেলর ড. আলী আরবখেরাদমান্দের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ কাউন্সিলের প্রধান ড. নিকনাম, ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. এনায়েত এ. শাবানি।
বৈঠকে ড. খেরাদমান্দ সংক্ষেপে তার ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে তেহরান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের ৩৩টি দেশের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা চারটি ছাত্রাবাস। ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৬১ ভাগ ছাত্রী ও ৩৯ ভাগ ছাত্র বলে জানান তিনি। বাংলাদেশি ছাত্রদের মেধা,পড়াশোনা ও আচরণে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ভাইস চ্যান্সেলর বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা ও ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মজিবুর রহমান ভূঁঞা তেহরান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভাইস চ্যান্সেলরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি ছাত্র ভর্তি, রোগী সেবাসহ স্টুডেন্টস স্কলারশিপের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যকার সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন রাষ্ট্রদূত মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া।
ভাইস চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের আগে স্কুল অব ডেন্টিস্ট্রি পরিদর্শনে যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁঞা । প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ভাইস-ডিন মোহাম্মাদ রেজা খামি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতকে বরণ করেন এবং তার ফ্যাকাল্টির পুরো কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম স্বচক্ষে পরিদর্শন করেন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা প্রদানে ইরান সরকারের আধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। তার এক প্রশ্নের জবাবে ড. খামি জানান, তাদের হাসপাতাল থেকে দৈনিক ৫০o জন নতুন রোগীকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট লেভেলে স্কুল অব ডেন্ট্রিস্ট্রিতে বিদেশি ছাত্র ভর্তি করা হয় বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশি ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্কুল অব ডেন্টিস্ট্রির ডিন ড. বায়াতি।
স্কুল অব ডেন্ট্রিস্ট্রি ঘুরে ফিরে দেখার পর রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যাওয়া হয় তেহরান হার্ট সেন্টার পরিদর্শনের জন্য। সেন্টারের পরিচালক ড. হাজি কাসেমের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ড. কাসেম জানান, সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তাদের এই হাসপাতালটি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট। কার্ডিওভাসকুলার রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে তেহরান হার্ট সেন্টার মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উন্নত হাসপাতাল বলে উল্লেখ করেন তিনি। চিকিৎসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারেও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত মজিবুর রহমান ভূঁঞা বাংলাদেশি রোগীদের সেবা প্রদানসহ স্টুডেন্ট ভর্তি এবং স্কলারশিপ প্রদানে সহযোগিতার ব্যাপারেও আলোচনা করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, এক সময় বাংলাদেশ থেকে ইরানে চিকিৎসক আসতেন,বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইরানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বৈঠকের পর পুরো হার্ট সেন্টারের সব ক’টি ইউনিট পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের সুন্দর পরিপাটি পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন জনাব মুজিবুর রহমান ভুঁঞা।
পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতকে সার্বক্ষণিক সঙ্গ দেন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব রাহিমি এবং সিকিউরিটি অফিসার আলী রাসুলজাদেহ।
ইরানের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার দাবারের পর উপহার ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে পরিদর্শন কর্মসূচি শেষ হয়।
বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত তেহরান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরের উষ্ণ আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাবঙ্কিংয়ে তেহরান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৩৬৪ আর এশিয়ার মধ্যে ৬৪.
লাভ কী?
Bangladeshi medical student ra visit korte parle ekta kichu labh hoto. ambassador visit kore ki labh?