এই শীতে বিভিন্ন চটকদারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হাজারো নামিদামি কোম্পানি ত্বক ফর্সা ও ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বলে মন মাতানো বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আসলে তাদের ক্রিমের বিভিন্ন উপাদানে কিন্তু মরন সৃষ্টিকারি উপাদান বিদ্যমান। দেখা যাক কোন উপাদান কতটা ক্ষতিকর,
Hydroquinone:
ত্বক সাদা করার জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় হাইড্রো কুইনন। Hydroquinone ক্যান্সার সৃষ্টি করে, ত্বকে এলার্জি ও র্যাশ করে। এছাড়া কিডনি, লিভার এর উপর Hydroquinone এর বিরুপ প্রভাব বিদ্যমান। লন্ডন ভিত্তিক ভিন্ন একটা রিসার্চে দাবি করা হয়েছে, এটা চোখের পাতা এবং চুলকে তাড়াতাড়ি গ্রে করে দেয়।
Hydroxyethyl Urea:
এটা ময়েশ্চারাইজার এবং হোয়াইটেনিং ক্রিম এর মুল উপাদান। এর ক্ষতিকর দিক হল মুখ, ঠোঠ, চোখের Swelling করে। শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনান্যদের তুলনায় ১৭/১৮% বেশি।
Mercury:
অধিকাংশ নামি দামি কোম্পানি মারকারি ইউজ করে, যেটা স্কিন হোয়াইটেনিং এর জন্য খুবই কার্যকরী। আর মারকারি এর ক্ষতিকর দিক তো সবারই জানা, স্কিন ক্যান্সার সৃষ্টি করে। সাথে মারকারি বিভিন্ন অরগানের ক্ষতি করে প্রকট ভাবে।
Phenoxyethanol:
এটাও ফেয়ারনেস ও ময়েশ্চারাইজিং ক্রিমে ব্যাবহার করা হয়। যা কিনা সিভিয়ার এলার্জিক রিএকশন করে, এটা নিউরোটক্সিক। নিউরোলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা করে, আর চোখের প্রবেলেমের জন্যও দায়ী।
মেইন ক্ষতিকর দিক হল সেল মিউটেশন করে।
Methyl Paraben:
এটা প্রায় সব প্রোডাক্টস এই দেখা যায়, যার ক্ষতিকর দিকগুলো মারাত্মক,
ব্রেস্ট ক্যান্সার, চোখের দৃষ্টিশক্তি লস, স্পার্ম কাউন্ট ডিক্রিজ করে।
Triethanolamine (TEA), Diethanolamine (DEA), Amonoethanolamine (MEA):
এটা পি এইচ ব্যালান্স করে । ক্ষতিকর দিক হল,
হরমোনাল ডিস অর্ডার, মেনুষ্টুয়াল প্রবেলেম।
Lauryl sulfate (SLS), Sodium laureth sulfate (SLES):
এটা সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেষ্ট এও ব্যবহৃত হয় হেয়ার লস করে। নার্ভাস সিষ্টেম এর ক্ষতি করে। লিভার, কিডনিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত এক জার্নালে দাবি করা হয় এটা হার্টের ব্লক করতে পারে।
Propylene / Butylene Glycol (PG):
এটা সব বিউটি প্রডাক্টস এ ব্যাবহার করা হয়। এটা Hypoglycemia করে। nervous system এর উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিদ্যমান।
Dimethyl phthalate (DMP), Di-n-butyl phthalate (DBP) & Di (2-ehtylhexyl) phthalate (DEHP):
এটা অবশ্য পারফিউম এ ব্যাবহার করা হয় বেশি।
এটা স্তনের গ্রোথ উইথড্র করে, স্পার্ম কাউন্ট লো করে, আর সবথেকে বেশি ক্ষতিকর হল প্রেগন্যান্ট এবং লেক্ট্যান্ট মাদার এর জন্য।
Methylene Chloride-Synthetic Fragrances:
এটা ক্যান্সার করে স্বাভাবিক ভাবে।
হেয়ার ফল হয়। স্কিনের নানাবিধ ইনফেকশন এর জন্য দায়ী।
Colors Used In Products:
অধিকাংশ প্রোডাক্টস ই কিন্তু রং মাখানো হয়। আর এসব রং স্কিন ক্যান্সার সৃষ্ট করে।
আরেকটা কথা এসব কসমেটিক্স এ নাকি ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল ও আছে। আরে ভাই, ভিটামিন প্রোটিন তো খেতেই পায়না, মুখে মাখতে হবে কেন???
কোম্পানি গুলোর প্রডাক্টস তৈরিতে ২০ টাকা খরচ হলে বিক্রি করে ২০০ টাকায়, কারন প্রচারেই প্রসার। আর এই মিথ্যা প্রচারের জন্য তো তিনগুন অর্থ বিনিয়োগ করে চারগুন লাভ করবে সেটাই স্বাভাবিক। এই তো টিভি তে এক বিজ্ঞাপন দেখলাম, ফেয়ার এন্ড আগলির, ওদের ক্রিম নাকি সারা বিশ্বকে হারায়ছে.! যাই হোক এদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মামলা করেছে, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত হয়েছি এদের বিরুধে সোচ্চার হওয়াতে।
নিজে বুঝেশুনে দেখেন কি কিনবেন আর কি কিনবেন না। তবে ভাল ব্রান্ডেড জিনিস ও কিন্তু আপনাকে রুক্ষে করবে না। গত সেপ্টেম্বর মাসে জনসন & জনসন কোম্পানি এক মহিলাকে জরিমানা দিয়েছিল আদালতের নির্দেশে। তার মামলা ছিল জনশন ক্রিম তার স্তন ক্যন্সারের জন্য দায়ী, সেটা অনেকাংশে প্রমান হলে আদালত মহিলার পক্ষে রায় দেয়।
[ M Hasan Rumi; 20 Nov 2016, External Reference : VD Cure, Chemistry Org, WHO, Beauty Hub, Top 10 Home Remedies, Daily mail]