থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসায় আমাদের নজর থাকে কিভাবে হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখবো, কিভাবে আয়রন লেভেল কম রাখবো। প্রথমটির জন্য ব্লাড ট্রান্সফিউশন এবং দ্বিতীয়টির জন্য নানা ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকা হয়। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা আয়রন জমা হওয়ার কমপ্লিকেশনেই বেশীরভাগ মারা যান বা শাররিক সমস্যায় ভুগেন। এইসব সমস্যা জানা থাকা সত্ত্বেও আমরা সেটি মোকাবেলা করতে পারিনা তার অন্যতম কারন ওষুধের মূল্য। এটি শুধু আমাদের দেশেরই সমস্যা নয় বলতে গেলে থ্যালাসেমিয়া প্রবন সব দেশেই একই সমস্যা বিরাজ করে।
▶️তারা কিভাবে এই সমস্যা কমিয়ে আনতে পেরেছে?
থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করা দেশের মাঝে অন্যতম সফল দেশ হল ইরান(মুসলিম দেশগুলোর মাঝে), তারা যে পদ্ধতি গ্রহন করেছে তা হল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের ব্যায়ামের দিকে মনোযোগী করে তুলা। এতে তারা সফলও হয়েছে।
▶️ব্যায়ামের ফলে কি হয়?
1. Exercising results in an increase in the percentage of iron autolysis from tissues
2. Changes in the cell membrane, in turn, release tissue iron and increase serum ferritin and iron levels
3. Intestinal iron absorption is lower than normal in athletes
4. Hemolysis of unfavorable thalassemic hemoglobin occurs more frequently during exercise activities, eventually decreasing serum ferritin levels.
▶️কেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা স্বাভাবিক ব্যায়ামের ব্যাপারে অনাগ্রাহি?
1. They have a reduced exercise capacity which is due, as well as to anemia, to several causes including physical deconditioning, low rate of high energy phosphate production and utilization, and reduced oxidative capacity of myocytes.
2. Cardiogenic cause of exercise limitation is also frequently observed, being cardiac involvement frequently observed in thalassemia.
রক্তের ঘাটতি পূরণ করা থাকলে বেশীর ভাগ আক্রান্তদের ব্যায়ামে আকৃষ্ট করা যায় সহজেই।আক্রান্তরা নিজেদের রুগী হিসাবে ভাবতেই পছন্দ করেন, এই ধারনা প্রথমেই বদলে ফেলতে হবে। অনেক অনেক উদাহরন আছে দুনিয়া জুড়ে যাদের থ্যালাসেমিয়া ছিল কিন্তু তারা দুনিয়া মাতিয়েছেন। বিখ্যাত ফুলবল প্লেয়ার জিনেদিন জিদান যাকে চিনেনা এমন লোকের সংখ্যা নগণ্য, তিনি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছিলেন।টেনিস তারকা পিট সাম্প্রাসও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু মুগ্ধ করে রেখেছিলেন আপন কারিশমায়। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা দৌড়াতে পারেননা সেটি ভুল প্রমান করেছিলেন বেন যিনি নিউইয়র্ক ম্যারাথনে অংশগ্রহন করে প্রথম হয়েছিলেন ২০১২ সালে তাও Thalassemia Major এ ভুগছিলেন সেই সময়ে।
▶️কতটুকু সময় তাদের ব্যায়াম করা উচিত?
CDC তাদের ডাটায় উল্লেখ করেছে শিশুদের জন্য সপ্তাহে ৬০মিনিট এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১৫০ মিনিট যথেষ্ট। আমাদের দেশীও প্রেক্ষাপটে এর কম বেশি আমরা নিরধারন করে নিতে পারি গবেষণার মাদ্ধমে।
▶️কেমন হতে পারে সেই ব্যায়াম?
হতে পারে হাটা, হাল্কা দৌড়ান,এর বেশি পারলে ফুটবল ক্রিকেটও খেলা সম্ভব। Isometric exercise, Yuga ইত্যাদিও কার্যকর।
শুধু ওষুধের উপর নির্ভর না করেও জীবনযাত্রা পদ্ধতি পরিবর্তনের মাদ্ধমে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা ভালো থাকতে পারেন সহজেই।
লেখক : আশরাফুল হক
১২তম প্রজন্ম
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার :
নূর ই আফসানা
মুগদা মেডিকেল কলেজ
সেশন ২০১৫-১৬