০৫ এপ্রিল, ২০২০: ‘করোনা ভাইরাস’ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম। এর অসম ব্যাপ্তির কারণে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। মানুষ তার স্বাভাবিক কাজকর্মের বিপরীতে একপ্রকার বন্দী অবস্থায় দিন পার করছে। তবে সবচেয়ে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে দেশের দরিদ্র, সম্বলহীন, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলোর মধ্যে।
অসহায় মানুষগুলোর জন্য কিছু একটা করার তাগিদে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা প্রথমে নিজেদের ভিতর আলোচনা শেষে এদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মার্চ POOR FUND COVID-19 SMAMCH নামে একটি তহবিল খুলে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের থেকে অনুদান আহ্বান করা হয়। কলেজটির প্রাক্তন ও বর্তমান বিভিন্ন ব্যাচের গুটিকয়েক শিক্ষার্থী সেচ্ছাসেবী হিসেবে অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব নেয়। এত প্রতিকূল সময়ের মধ্যেও সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে অর্থ সাহায্য করার চেষ্টা করে।
তহবিলে আলাদা করে ৫০,০০০ টাকা সমমানের অর্থ সাহায্য দিয়ে বিশেষ অবদান রাখেন এসএম-০১ ও এসএম-০২ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
সবমিলিয়ে প্রায় ১২৮৪০০ টাকার মত অনুদান সংগ্রহ করা হয়।
গত ৪ঠা এপ্রিল শনিবার সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে কলেজটির অধ্যক্ষ, পরিচালক (প্রশাসন) এবং হাসপাতাল পরিচালকের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা উক্ত অনুদানের সমপরিমাণ খাদ্যসামগ্রী গরীব, দিনমজুর ও বস্তিবাসীদের মাঝে বিতরণ করেন।
তাঁরা ২৩০ জন অসহায় মানুষকে প্রতিজনের জন্য ৫০০ টাকা সমপরিমান খাদ্যসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট দিয়ছে। যার অন্তর্ভুক্তিতে ছিলো ৫ কেজি বিরি ২৮ চাল, ১ কেজি মুগ ডাল, ১কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ৫০০মিলি সয়াবিন তেল, ৫০গ্রাম মরিচ, ৫০ গ্রাম হলুদ ও ১টি সাবান।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডা. মাহবুবুল ইসলাম খন্দকার,
ডা. ফ্রোবেল চৌধুরী, ডা. লাকি, ডা.খন্দকার সোয়েব সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় টোকেনের ব্যবস্থা করা হয় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
এই উদ্যোগটির সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন ডা. মো. রাশেদ নিজাম। তাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন ডা. আতিকুর রহমান সজিব, ডা. সারোয়ার হুসাইন, ডা.কবির মোস্তফা, ডা.সমির দিপংকর, ডা. শাকিল, ডা. নাঈম, ডা. রাফাত ও ডা. ইমতিয়াজ গালিব প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক / আব্দুল্লাহ আল মারুফ