প্ল্যাটফর্ম সাহিত্য সপ্তাহ -২০
“ দুইবর্ণ “ইদ” তবু হাজার অনুভূতি…… ”
লেখকঃ
নুসরাত ইশি
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ
ইদ কে নিয়ে গল্প লিখার এই মিষ্টি আয়োজন….. লিখব কিছু গল্পগাথা মিশিয়ে ছন্দপতন…
“রমজানের অই রোজার শেষে এলো খুশির ইদ” গানটা ছাড়া কিন্তু জমে ই না একদম….
ছোট ইদ আর বড় ইদ,রোজার ইদ,কোরবানির ইদ নামও দিতাম…
কোরবানির সময় সবচেয়ে ভেতরের ঘরে থাকতাম লুকিয়ে,ভয় পাব বলে… মেডিকেলে আসার পর কত হাড় কত ভিসেরা আর ডিসেকশান দেখে করেছি আয়ত্ত্ব বন্ধুরা দলে দলে…..
শৈশবের ইদগুলি ছিল খুব বেশি মজার আর স্মৃতিময়…..
যত বড় হচ্ছি শুধু পিছু ডাকে দুষ্টু সময়…….
খাতার পাতায় লাল আর নীল কলমে একে দিতাম কত আবেগ,কত কথা… ইদ কার্ডের হত বিনিময় আর এখন ওসব ভাবলে মুচকি হাসায় নিরবতা…..
চাঁদ রাতে মেহেদী দিতে যেতাম এলিজা আপুর কাছে… মেহেদীর গন্ধটাই তখন অন্যরকম ছিল এখন সব মিছে,,,তাইতো এলিজা আপুর বিয়ের পর আমিও আপু সাজি….ছোট বড় সব হাত দেই সাজিয়ে শুধু নিজের হাত শুণ্য রাখি……
একটা জামা তাতেই খুশি আর ধরতো না… ইদ কে নিয়ে সাজাতাম কত যল্পনা আর কল্পনা… এখন অনেক জামা কিন্তু সেই খুশিগুলি তবুও আর ফিরে পাওয়া যায় না…..
মাঝে মাঝে চাঁদরাতে জমতো আড্ডা…. রুমাল চুড়ি,কানামাছি আরও অনেক খেলা….এখন সবার আলাদা জগত, একসাথে তেমন আর বসা হয় না…
ইদের দিন সকাল বেলা ঘুম না ভেঙেই সেমাই খাওয়া,,,, আর দৌড়ে সবাইকে ইদ মোবারক বলতে যাওয়া…. এখন তো অনলাইনে হাজার জন কে ওয়িশ করলেও এতটা উৎসাহ কাজ করে না…চাইলেও যায় না আগের মতো হওয়া….
আতরের গন্ধটা খুব মিষ্টি লাগতো তখন…. খুব দামী পারফিউমের যুগে ভাবতে অবাক লাগে এখন….
হাজার টাকার সেলামি, চাচা দিত, মামা দিত,আব্বু আম্মু…. এখন আর সেই দাবীদার সেই আমিটা ছোট্র থেকে অনেক বড় হয়ে গেছি…… বদলে গেছে অনেক কিছু…উলটো সেলামি নিতে পিচ্চিগুলা নেয় যে পিছু….
ঢাকায় থাকি,ট্রেনে ফিরি ময়মনসিংহে…. এলো চুলে কত কিছু ই না ভাবি ট্রেনের জানালা দিয়ে বহুদূর তাকিয়ে…
একরাশ অভিমান নিয়ে গাল ফুলিয়ে বসে ভাবি… ফিরে যাব,আর যাই তবে প্রিয় সেই শৈশবে…….