দুপুরের পর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে দুপুরের (১টা থেকে ২টা) পর চিকিৎসক থাকেন না। ইউনিয়ন, উপজেলা বা সদর, জেলা হাসপাতালেও এ দৃশ্য দেখা যায়।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ‘গ্রামীণ নারীদের মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও দাইমাদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উবিনীগ ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা।

স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নানামুখী সংকট রয়েছে উলে­খ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘মাতৃস্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করলে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুবই শোচনীয়। দেশে মাতৃস্বাস্থ্যের যে কর্মকাণ্ড দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নেই। স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনা করলে যে গুণগত মান রক্ষা করা প্রয়োজন, তা হাসপাতালগুলোতে নেই। যেখানে ৫০ জন মায়ের শয্যা রয়েছে, সেখানে ১০০ মাকে রাখা হয়েছে। এক শয্যায় তিনজন শিশুকে রাখা হয়েছে। সব জায়গায় করুণ চিত্র। চিকিৎসক সংকট প্রচণ্ড। সরকারি হাসপাতালে যত চিকিৎসক দরকার, তত নেই। বিভিন্ন কারণে তারা দেশের বাইরে অবস্থান করেন। পড়াশোনা, প্রাইভেট প্র্যাকটিস এসব নানা কারণে তারা চলে যান।

উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, এখনো বেশির ভাগ সন্তান প্রসব হচ্ছে বাড়িতে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, সরকারি হাসপাতালে প্রসব কম হয়। প্রসবকালীন জটিলতা ও বিপদ সম্পর্কে দাইমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া দরকার। মায়ের অবস্থা জটিল বুঝতে পারলে দাইমারা যেন প্রসবের চেষ্টা না করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার পরিচালক সীমা দাস সীমুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তৃতা করেন স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী।

তিনি বলেন, গ্রামে ৫৩ শতাংশ প্রসব দাইমাদের হাতে হচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর বড় কারণ হচ্ছে বাড়িতে প্রসব। এর মধ্যে ২২ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হয় রাস্তায়। হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে রক্তপাতের কারণে মৃত্যু হয়। প্রতি ১০০টি স্বাভাবিক প্রসবের মধ্যে ১৫টিতে জটিলতা থাকে। প্রসবে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য উচিত দাইমাদের অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ পরীক্ষা করার মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া।

প্ল্যাটফর্ম/

প্ল্যাটফর্ম কনট্রিবিউটর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo