bkস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী গত ১৪ জুলাই ২০১৮ তারিখে ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড পালিত হয় । পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এবারই প্রথমবারের মতো ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য অনলাইন রিপোর্টিং চালু করা হয়েছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় ১৪ জুলাই শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ২ কোটি এর অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এসময় ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই, ইউ) ৪ ফোঁটা করে এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই, ইউ) ৮ ফোঁটা করে খাওয়ানো হয়।এবং একই সাথে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান করা হয়।
দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ।তবে দুর্গম এলাকা হিসাবে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১৫-১৯ জুলাই) ১২টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি যেয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দিনে প্রদত্ত পুষ্টি বার্তা সমূহঃ
➡️ ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
➡️শিশুর বয়স ০৬ মাস পূর্ন হলে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পরিমানমত ঘরে তৈরী সূষম খাবার খাওয়ান।
➡️মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমান ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রানিজ খাবার(মাছ,মাংস,ডিম,দুধ,কলিজা)ও উদ্ভিজ খাবার (হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাকসবজি) খেতে দিন।
➡️পরিবারের রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার করুন।
সুমিত সাহা
গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ
সেশন:২০১৪-১৫