বিএসএমএমইউতে মাত্র ১,৬০,০০০ টাকা খরচে কিডনী প্রতিস্থাপন করা যায়,সর্বসাকুল্যে খরচ মাত্র। সফলতার হার প্রায় ১০০ ভাগ , কমছেও রোগীদের বিদেশমুখিতা।
এইতো সেদিনও কিডনি প্রতিস্থাপন ছিল বিশাল পরিমান টাকা খরচের চিন্তার ব্যপার। হয়ত বিত্তশালিদের জন্য খুব বড় ব্যপার না হলেও মধ্যবিত্ত , নিম্ন মধ্যবিত্ত দের জন্য ছিল খুব ভয়ংকর অবস্থার মুখোমুখি হওয়া। ভিসা সমস্যা, বিদেশে গিয়ে থাকা খাওয়ার খরচ , আর চিকিতসা খরচ তো না বললেই নয়। হিসাব করতে গেলে অনেক অনেক পরিমান টাকা দরকার ছিল সেসময়। দেশে যে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা কিংবা অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না তা কিন্তু নয় । কিন্তু যথেষ্ট প্রচারনার অভাবে সকলের সেই ব্যপারে জানা ছিল না বলে রোগীরা চিকিতসার জন্য চলে যাচ্ছিলেন অন্যান্য উন্নত দেশে।
তবে এখন দেশেই হচ্ছে নামমাত্রমূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মাত্র ১,৬০,০০০ টাকায় হচ্ছে কিডনী প্রতিস্থাপন। খুব বেশি হলে সব মিলে খরচ হতে পারে ২,৫০,০০০ টাকার মত । আর সফলভাবেই চলছে এই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া।বিশেষজ্ঞদের ধারনা মতে, এই মুহূর্তে বিশ্বের সকল দেশের তুলনায় বাংলাদেশেই সর্বনিম্ন মূল্যে কিডনী প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সফল্ভাবে সম্ভব হচ্ছে ।
হাসপাতালে ঘুরে বিভিন্ন রোগীদের কাছে জানা গেল তারা চিকিৎসায় বেশ সন্তুষ্ট। একজন রোগীর কাছে জানা গেল , প্রথমে তারা ভেবেছিলেন হয়ত এখন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়ত অনেক অনেক টাকা খরচ হবে বিদেশে যেতে হবে । কিন্তু তাদের কাছে সেই পরিমান টাকা না থাকায় ধরে নিয়েছিলেন হয়ত টাকার অভাবে শেষবেলায় আর চিকিৎসা সম্ভব হবে না। পরে জানতে পারলেন বিএসএমএমইউ এর কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থার কথা । এখন বেশ সুস্থ আছেন তিনি। আরও সময় লাগবে হয়ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে।
চিকিৎসকদের কাছে জানা গেল, তারা বেশ ভাল আহবান পাচ্ছেন রোগীদের কাছ থেকে এবং তাদের বিশ্বাস কিডনি সংযোজন সফলতায়, অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলাতে পারবে আমাদের দেশ এবং রোগীদের আস্থাও অর্জন হবে শীঘ্রই।
এই পর্যন্ত বিএসএমএমইউতে ৫০০ এর বেশি রোগীর কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। তাই দেশের চিকিৎসকদের আহ্বান , এখন আর বিদেশমুখি না হয়ে দেশেই হাতের নাগালের মধ্যে এই চিকিৎসা করা।
আরও জানতে ঃ নামমাত্র মূল্যে দেশেই হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপন