রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
এবার বাংলাদেশেই সর্বনিম্ন ৫৫০ গ্রাম ওজনের প্রিম্যাচিউর শিশুর চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিশুটি মাত্র ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের গর্ভকালীন অবস্থায় ৫৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এরপর ৩ মাস ২৬ দিন হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে চিকিৎসা গ্রহণ করে এখন সুস্থ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে শিশুটি।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শিশুটির হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিশুটিকে চিকিৎসা প্রদানকারী এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এভারকেয়ার হাসপাতাল তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ওজনের প্রিম্যাচিউর শিশুর জীবন বাঁচানোর নজির স্থাপন করেছে। শিশুটি মাত্র ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের গর্ভকালীন অবস্থায় ৫৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং ৩ মাস ২৬ দিন হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে থাকার পর হাসপাতাল ত্যাগ করেছে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাসরিন জুলফিকারের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির মায়ের প্রি-ইক্লাম্পসিয়া রোগের কারণে ভ্রূণের রক্ত প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল, সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে শিশুটিকে জন্ম দেওয়া হয়। গর্ভাবস্থা চলতে থাকলে মা ও শিশুর উচ্চ মৃত্যু ঝুঁকি ছিল। জন্মের পর, শিশুটিকে নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করা হয় এবং পেডিয়াট্রিকস এবং নিওনাটোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, এই চ্যালেঞ্জিং যাত্রায় শিশুটির বাবা-মায়ের অসামান্য ধৈর্য, সহযোগিতা ও আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এমন গুরুতর কেস-এর সাফল্য আমার সম্পূর্ণ টিম এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
প্ল্যাটফর্ম/