২৯শে এপ্রিল,বুধবার,২০২০
করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক হাতের নাগালে এসে পৌছায়নি। বাংলাদেশে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এই যুদ্ধের সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসকরাই। বাংলাদেশে চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন,অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে চিকিৎসক আক্রান্তের হার অনেক বেশি।তবুও চালিয়ে যাচ্ছেন এই যুদ্ধ।
চিকিৎসকদের মাঝে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুতই নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস এ উত্তীর্ণদের থেকে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে বিশেষভাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ দ্রুতই শেষ করতে চায়। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, সরকার চাইলে বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত পিএসসি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেয়েছেন তারা।
৩৯তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে গত ৮ই ডিসেম্বর ৪ হাজার ২০৩ জন সহকারি সার্জন যোগদান করেন দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে।
আর ২৪০ জন যোগদান করেন সহকারি ডেন্টাল সার্জন হিসেবে। কিন্তু পিএসসি কর্তৃক সুপারিশকৃত হবার পরেও ৭১জন চিকিৎসক যোগদান করতে পারেননি। তাদের সবকিছু ঠিক থাকলেও তারা ভেরিফিকেশনে আটকে যান।
এই ৭১ জন চিকিৎসকের বিশেষ আবেদন, দুর্যোগকালীন সময়ে তাদের নিয়োগ দেয়া হোক। সুযোগ করে দেয়া হোক জনগণের সেবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এরজন্য কমপক্ষে ২/৩ সপ্তাহ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের নিয়োগ দেয়া ২/৩ দিনের মধ্যেই সম্ভব। আমরা মানবতার সেবার উদ্দেশ্যেই চিকিৎসক হয়েছি। এই সময়ে আমাদের বসে থাকতেও খারাপ লাগছে।
এদের মাঝে আরেকজন চিকিৎসক বলেন, ভেরিফিকেশনের সময় অনেকেই শত্রুতা করে ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন। এরকম কিছু হলেও হতে পারে। যাইহোক আমাদের আবেদন, আমাদের নিয়োগ দেয়া হোক। আমরা সেবা করতে চাই।
এই ৭১ চিকিৎসকের মধ্যে অন্য একজন বলেন, আমরা যোগ্যতা সম্পন্ন জন্যই সুযোগ পেয়েছি বিসিএস এ। কিন্তু আমরা ভেরিফিকেশনে আটকা পড়ে গেলাম। কিন্তু যেখানে ২ হাজার উত্তীর্ণ চিকিৎসক নেবার কথা বলা হচ্ছে। আর আমরা পিএসসি থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত। আমাদের সুযোগ করে দেবার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
তথ্যসূত্র :জাতীয় দৈনিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
ওয়াসিফ হোসেন