প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১০ জুন ২০২০, বুধবার
দেশে ক্রমশ বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের ৯৫ তম দিনে মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের কোটা অতিক্রম করলো।
দেশে প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের খবর প্রকাশ পায় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায়, ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গিয়েছেন। এতে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ১০১২ জনের। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন সক্রিয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন, নারী ৪ জন। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১.৪% (৯জুন সরকারি তথ্যানুসারে)
বুধবার (১০ই জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
কোভিড-১৯ এ বিভিন্ন দেশে মৃত্যু হারে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য৷ কিছু কিছু দেশ মৃত্যুর হার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছে, ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে সংক্রমণ। কিছু দেশে এর ভিন্ন চিত্র পরিলিক্ষত হচ্ছে। যা নির্ভর করছে জনসংখ্যায় বয়সের অনুপাত, দেশগুলোর স্বাস্থ্য সেবার সক্ষমতা, কতজনকে পরীক্ষা করা হচ্ছে, ইত্যাদির উপর৷ বাংলাদেশে সংক্রমণের হার এবং মৃত্যু- দু’টোই বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা। করোনার উপসর্গ মৃদু হলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। বাড়িতে চিকিৎসার কী পরিস্থিতি, তার ওপর কেউ নজরদারি করছে না। এভাবে বাড়িতেও মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে । পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্ত হচ্ছে না। অনেক রোগীই উপসর্গ ছাড়া, বাইরে, হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও রোগ ছড়াচ্ছে। এছাড়া সঠিক নীতি নির্ধারণে ব্যর্থতা, স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনাও অনেকাংশে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ার জন্য দায়ী।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্তের বিশ্ব -তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ১৯তম স্থানে এবং এশিয়ার মধ্যে সপ্তম স্থানে।
গত তিন মাস ধরে করোনা সংক্রমণের ও মৃত্যুর এই ঊর্ধ্বমুখী চিত্র উদ্বেগজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে চতুর্থ মাস বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক হয়ে যাবে।