প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৮ জুন, ২০২০, রবিবার
ডাঃ ফাহমিদা রশীদ স্বাতি,
সহকারী অধ্যাপক,প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ,
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
আমাদের দেশে ডাক্তাররা একপ্রকার ঢাল তলোয়ার ছাড়া যুদ্ধে নেমেছে। করোনার এই ভয়াবহ রূপ ধারণের কারণে ডাক্তাদের প্রায় অনেকাংশই আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এমন হলে তখন লক্ষ লক্ষ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কে দেবে? এভাবে যদি সকল ডাক্তার আক্রান্ত হয়,তাহলে এই ডাক্তারদের কাছে যেসকল সাধারণ রোগী আসবে তারাও আক্রান্ত হবে, রোগীদের পরিবারও আক্রান্ত হবে। দেশে মহামারী আরো ছড়াবে। তাই ডাক্তারদের নিরাপদে থাকার চেষ্টা করতে হবে, তা না হলে ন্যূনতম চিকিৎসা দেয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যাবে না।
গত ৬/৬/২০ তারিখ রোজ শনিবার একটা স্ট্যাটাসে ডাক্তাররা কিভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুটো গ্রুপে ১৮৩ টা কমেন্ট পাওয়া যায়। আবার শ্রদ্ধেয় নাজমুল হোসেইন (কার্ডিয়াক সার্জারি,চমেক) এর একই রকম এক স্ট্যাটাসে ৬১ টা কমেন্ট পাওয়া যায়। মানে ২৫০ জনের মতামত একত্রে করে ডাক্তারদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার জন্য কারণগুলো পাওয়া গেছে। এসব কারণ সংকলিত করে সবার জন্য নিম্নক্ত সচেতনতামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানিয়ে রাখাটা দায়িত্ব বলে মনে করছি-
মাস্কঃ
১। বেশির ভাগের মতামত মাস্ক নিয়ে-
– এন-৯৫ এর উপরে সার্জিক্যাল মাস্ক পরাটাই এখন সাজেস্ট করছে সবাই । অনেকেই তা না করে নীচে সার্জিক্যাল উপরে এন-৯৫ পরে।
২। কর্মস্থলে মাস্ক বার বার খোলা যাবে না কারণ তাতে ব্যবহৃত মাস্ক দিয়েই সংক্রমিত হবেন। তাই বাসা থেকে যে মাস্ক পরে হাসপাতালে যাবেন, তা আর না খোলাই ভাল। আমিতো পানি খাওয়ার জন্যেও খুলি না! যদি খুলতেই হয়, তাহলে আরো একটা মাস্ক সাথে রাখবেন। মুখ ভাল ভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে অন্য আরেক সেট পরুন। হতে পারে তা পুন:ব্যবহৃত। ১২ ঘণ্টা যারা ডিউটি করে তাদের একবার খুলতেই হয়। তাই দু’সেট মাস্ক রাখুন এডমিশন ডে তে। ৫ম দিনে এন৯৫ ও ৮ম দিনে সার্জিক্যাল মাস্ক পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। মাস্কের সামনের ভাগে অনেকেই হাত দেয়া কন্ট্রোল করতে পারে না। অসতর্ক মুহূর্তে হাত চলে যায় বা এডজাস্ট করতে হাত যায়। তাই পরার সময় প্রথম বারে ঠিক মত পরুন। প্রয়োজনে মাইক্রোপোর লাগান। কখনো গ্লাভস পরা হাত দিয়ে মাস্ক এডজাস্ট করবেন না।
৪। মাস্ক কোয়ালিটি – বিশাল এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন। তাই এন-৯৫ কেনার সময় এর কোড ওয়েব সাইডে মিলিয়ে সঠিকটা কিনুন। আর সার্জিক্যাল মাস্কের বেলায় বলতে পারি- এ মুহুর্তে যা বাজারে আছে সব বাংলাদেশের তৈরি। কোয়ালিটি সম্পর্কে আল্লাহ জানেন! সার্জিকেল মাস্ক তিনস্তর বিশিষ্ট কিনা দেখে নিন।
৫। একই মাস্ক বারবার ব্যবহার করলে আর্দ্রতায় এর ভিতরের পোর সাইজ নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে ভাইরাস ঢোকার রাস্তা সোজা হয়ে যায়। তাই বলা হয়েছে, যদি মাস্ক ভিজে যায় তাহলে ডিসকার্ড করতে। এ গরমে কার মাস্ক ঘামে ভিজেনা, আমাকে একটু বলবেন কি? তাই কি করবেন চিন্তা করুন। এত দাম দিয়ে কেনা – এন ৯৫!!
আমার মতে সার্জনরা যখনি সাসপেক্ট/ কনফার্ম কোন রোগীর অপারেশন করতে যাবেন তাহলে সম্পুর্ন নতুন একসেট পরুন। গাইনি কোভিড/নন কোভিড এডমিশন ডে তে ও আইসিইউর ডিউটি ডে তে অবশ্যই নতুন পরা উচিত। কারণ রোগীর সাথে এদের কনটাক্ট টাইম বেশি। ওটি, আইসিইউ দুই জায়গাতেই এরোসল তৈরী হয়।
৬। আমাদের কারো মাস্ক ফিট টেস্ট করা না। পরার পর ফাঁক-ফোকর থেকেই যায়। সুতরাং ভাইরাস এর জন্য কেল্লাফতে। আমার উপদেশ হল,মাস্কের উপরের দিকে ১ ইঞ্চি মাইক্রোপোর দিয়ে সেঁটে দিন ফাঁক যেখানে আছে। যা আমি ইদানীং করছি।
৭। হাসপাতালে শুধু সার্জিক্যাল মাস্ক পরে বর্তমান সময়ে আসাটা বোকামি।
৮। যে মাস্ক পরে ননকোভিড ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছেন সেটা ওয়ার্ডের বাইরে রাউন্ড শেষে পরে থাকছেন। আবার সেটাই খাবার সময় খুলে পরছেন। তাতে আপনার হাত থেকে নাকে-চোখে বা আপনার নিকটে বসা কলিগের কাছে ভাইরাস যেতে সময় লাগবে কয়েক সেকেন্ড মাত্র। তাই রাউন্ডের আগে দুটো সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। রাউন্ড শেষ করে সবার উপরেরটা ফেলে দিন।
৯। আমরা এন৯৫ পরে থাকলেও যাদের সাথে নিয়ে আমরা সবসময় কাজ করছি আয়া, ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএস- তারা একটা শুধু গেণ্জির মাস্ক পরে থাকে। কিন্তু এদিকে পিপিই গাউন পরে থাকে। আমরা এন-৯৫ তাদের দিতে না পারি, যার যার এডমিশন ডেতে poor fund থেকে ডাবল সার্জিক্যাল মাস্ক কিনে দিতে পারি। তাদের মাইক্রোপোর দিয়ে সিল করে দেয়াটা শিখাতে হবে ও কনফার্ম করতে হবে। ওরা আক্রান্ত হলে আমরা শেষ! কেননা, ওদের সাথে আমাদের দীর্ঘ সময় ওটি, ওয়ার্ডে থাকতে হয়। বিশেষ করে গাইনি ও আইসিইউতে।
১০। রোগী ও রোগীর লোককে হাসপাতালে সার্জিক্যাল মাস্ক পরতে বাধ্য করুন- কোভিড/ ননকোভিড দুই জায়গায়।
১১। সরকারী হাসপাতালে ওয়ার্ডের বাইরে করিডোরে শত শত এটেনডেন্ট মাস্ক না পরে ঘুরে বেড়ায়। কোন ভাবে তাদের মাস্ক পরা ও এটেনডেন্ট সংখ্যা কমাতে পারলে ভাইরাস লোড কমত।
১২। ফেস শিল্ড/ গগলস পরা ছাড়া বর্তমান সময়ে হাসপাতালে এক মুহুর্তও থাকা উচিত নয়। ৪০০/৫০০/৭০০ কোভিড রোগীর নি:শ্বাসের জন্য বাতাসে ভাইরাস লোড কি রকম থাকবে চিন্তা করেও গা শিউরে উঠে। গগলস বারে বারে খোলা যাবে না। যতবার খুলবেন ততবার হেক্সিসল দিয়ে মুছে পরতে হবে।
পিপিই- গাউনঃ
১। ডনিং নয় ডফিং এর ভুলের কারনে অনেকে আক্রান্ত হয়। ডিউটি শেষে কোন ভাবে এ থেকে বের হতে পারলেই বাঁচি বলে তাড়াহুড়ো সবার। বাঁচবেন তখনি যখন সময় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ খুলবেন। যেন তেন গাফিলতি করে খুলবেন না। যেদিন কোভিড ডিউটি থাকবে দয়া করে ঐদিন ইউটিউবে আবার একবার ডফিং দেখে নিন। আমার জানামতে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত সার্জনও তার ১০০ তম অপারেশন করার আগেও একবার পড়ে নিত। আমি তো পারি, সে কনফিডেন্স না করে আবার দেখুন না! জীবন- মৃত্যুর ব্যাপার তো!
২। কখনো পিপিই পুনরায় ব্যবহার করতে না হলে ভাল।যদি করতেই হয় ভালমত জীবাণুমুক্ত করে পরুন।
৩। ননএসি রুমে অনেকেই অতিরিক্ত গরমে গাউনের মাথার হুডি বার বার করে খুলে।
না! তা কখনোই করবেন না! মনে রাখবেন চোখ-নাক-মুখের কাছাকাছি সব মুভমেন্ট বন্ধ পিপিই পরা অবস্থায়।
৪। পিপিই পরার রুম না থাকলেও খোলার রুম অবশ্যই করতে হবে এবং খোলার পর ভালোভাবে ডাস্টবিনে রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ন আপনার। কেননা আপনার সঠিক ভাবে ডিসপোজ করার উপরেই পরবর্তীতে ঐ রুমে যে ঢুকছে তার নিরাপত্তা নির্ভর করছে। আমার নিজের দায়সারা ডিসপোজাল আমার ডাক্তার ভাই/বোনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই ডাস্টবিনে ফেলার আগে পলিথিনে ঢুকিয়ে তারপর বিনে ফেলুন- ফ্লোরে নয়। কোভিড ওয়ার্ডে ডিউটি সেরে ঐ পিপিই পরে কোন ভাবেই বাইরে যাবেন না,খুলে যান। আপনার চারপাশের মানুষের নিরাপত্তা আপনার হাতে।
৫। পিপিই বাসা থেকে কখনো পরে যাবেন না বা পরা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বাসায় আসবেন না।
৬। পিপিই পরা অবস্থায় নিজের ওয়ার্ড ছাড়া অন্য ওয়ার্ডে যাতায়াত করবেন না। আপনার পিপিইতে যদি জীবাণু থাকে তাহলে হয়তো আপনি নিজেকে প্রোটেক্ট করছেন। কিন্তু আশেপাশের সবাইকে জীবাণু দিয়ে যাচ্ছেন।
৭। রেড জোন থেকে গ্রীন বা ইয়েলো জোনে পিপিই পরা অবস্থায় কখনোই যাবেন না।
গ্লাভসঃ
১। রেড জোন ছাড়া অন্য কোথাও সারাক্ষণ গ্লাভস পরে থাকার বিপক্ষে আমি সবসময়। কেননা গ্লাভস ফলস সেন্স অফ সিকিউরিটি দেয় বলে আমরা অনেক সময় অসতর্ক হই।
২। গ্লাভস পরা অবস্থায় মোবাইল রিসিভ করার আগে হাতে স্যানিটাইজার দিন।
৩। গ্লাভস খুলে দয়া করে ডাস্টবিনে ফেলুন, মেঝেতে না। পারলে ওটিতে ক্লোরিন সলিউশন করা থাকে তাতে ফেলুন। আপনার ছোট্ট একটু সতর্কতা আপনার আয়া, ওয়ার্ড বয়ের জীবন বাঁচাবে।
৪। হাসপাতালে প্রতিটা রোগী দেখার পর ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোন। না পারলে প্রতিবার স্যানিটাইজার দিন। আল্লাহ জানেন, স্যানিটাইজার এর মান কেমন!
৫। ডফিং এ প্রতিটা স্টেপে হাতে স্যানিটাইজার দিন।
৬। সাসপেক্ট/ কনফার্ম রোগীর ওটির সময় ৩ জোড়া গ্লাভস পরুন।
হাসপাতালঃ
১।রেড জোনের রোগীরা পরীক্ষা করার জন্য প্যাথলজি, রেডিওলজিতে ঘুরে বেড়ায়। এটা মারাত্মক।
২। রোগীর সাথে কনটাক্ট টাইম <১৫ মি করতে পারলে ভালো হয় তাও সার্জিক্যাল মাস্ক পরা অবস্থায়। রেড জোনে যেহেতু এন৯৫ পরা থাকে, তখন সমস্যা না।
৩। অন্যের সাথে দুরত্ব >২ মিঃ রাখতে পারলে ভাল।
৪। প্রয়োজন না হলে বেশি কাছে গিয়ে রোগী না দেখা। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই সঠিক সুরক্ষা নিয়ে।
৫। অবশ্যই তাড়াহুড়া করা যাবে না সাসপেক্ট/ কনফার্ম রোগী ডিল করার সময়। যথাযথ প্রস্তুত হয়ে তারপর দেখা ও অপারেশন। কেননা, নিজের সুরক্ষা না নিয়ে শুধু নিজেই না বরং পরিবারকেও ঝুঁকির মুখে ফেলবেন। মাস্ক ভালোভাবে সিল করুন।
৬। গাইনি – লেবারের সময় ১ম ও ২য় ধাপে রোগীকে মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক করুন। কেননা, বেয়ার ডাউন – এরোসল তৈরী করে।
৭। হাসপাতালে এটেনডেন্ট কন্ট্রোল করতে পারলে ঝুঁকি ৫০ ভাগ কমে যেত। সরকারি হাসপাতালে এটা করা দুরুহ আসলে। ১৭ বছরের চাকরি জীবনে সবাইকে কম চেষ্টা করতে দেখলাম না। কোথায় যে সমস্যা? কত গলা ফাটিয়ে আমাদের ডাক্তারদের চিৎকার করতে হয় প্রতিদিন! কিন্তু, কেন যে পারি না। এ কাজ কি ডাক্তারের?
৮। গাইনিতে রোগী অনেক বেশি এখন। সবাইকেই রোগী বিবেচনা করে কাজ করতে হবে।
৯। হাসপাতালে রুমের দরজা, লিফটের বাটন, গেটের লক বারে বারে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
১০। ননকোভিড ডাক্তারদের যত কম সংখ্যক এক রোস্টারে রাখা যায় কাজ চালানোর জন্য তত মঙ্গল। তাতে কনটাক্ট টাইম কমবে।
১১। আইসিইউ এবং ওটিতে যতদিন নেগেটিভ প্রেসার না হচ্ছে ততদিন ঝুঁকি থাকবে।
১২। প্রাইভেট প্র্যাকটিস থেকে বিরত থাকা উচিত। যত ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছে – খবর নিয়ে জানা গেছে অনেকেই ওখান থেকেই আক্রান্ত।
১৩। হাসপাতাল বর্জ্য – জনগনের জন্য মারাত্মক জীবানু সংক্রমনের সোর্স। এটা নিয়ে ভাবার সময় পার হয়ে গেছে। আশু পদক্ষেপ জরুরি।
১৪। আমাদের সবার সিনিয়র যাদের কো-মরবিডিটি আছে তারা বাসা থেকে কাজ করুক। এসব রত্নদের মৃত্যু আর নেয়া যাচ্ছে না। যারা সুস্থ আছি, সবল আছি তারা কাজ করি। ওরা আমাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে থাক।
১৫। ইনফেকশন প্রিভেনশন টীম- করা হোক প্রতি হাসপাতালে। নিয়মিত চেকলিস্ট এর মাধ্যমে কোথায় কোথায় মনিটরিং লাগবে তা মনিটরিং হোক। আলাদা লোক নিয়োগের দরকার নেই। যারা আছে তাদের মধ্যে থেকেই টিম হোক।
সামাজিকঃ
১।আপনার কলিগ,অধিনস্থরা জীবাণু বহন করছে কি করছে না আপনি জানেন না। তাই তাকেও রোগী ভেবেই সব নিয়ম মেনে চলুন।
২। হাসপাতালে সবার সাথে বসে নাস্তা করবেন না। একা রুমে খান।
৩। নাইট ডিউটিতে ঘুমাতে হলে বাসা থেকে বেডসীট নিয়ে যান। রুম শেয়ার করতে হলে মাস্ক পরা অবস্থায় ঘুমান।
৪। হাসপাতালে কাজের ফাঁকে বারবার মোবাইলে হাত না দিতে চেষ্টা করুন। কথা বলুন লাউড স্পীকারে।
২। হাতের নক ছোট রাখুন।
৩। ছেলে- মেয়ে সবাই ননকোভিড ওয়ার্ডে মাথা কাভার করে রাখুন (কেপ)।
৪। বাইরে থেকে বাসায় এসে সরাসরি বাথরুমে যান- গোসলের জন্য। সবার শেষে মাস্ক খুলুন। অনেকের মাথার উপর দিয়ে কাপড় খুলতে হয় তাই। প্রথমে মুখ ভাল করে ধোন। এরপর গোসল।
৫। ব্যবহার্য মোবাইল, চাবি সঠিক ভাবে জীবাণুমুক্ত করুন।
৬। কাজের বুয়া(ছুটা), ড্রাইভারকে নিজেই সুরক্ষা সামগ্রী কিনে দিন এবং এসবের ব্যবহার শিখিয়ে দিন।
৭। টেলিফোনে বাজার করুন। নিজে যাবেন না। সবার কনটাক্ট নাম্বার রাখলেই সম্ভব।
পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) এর চাইতে পিপিএ (পারসোনাল প্রোটেকটিভ এটিটিউড) আমাদের করোনা মুক্ত রাখতে পারে। যেটা পেরেছে সিএমএইচ -এ মহামারীতে সেই বাংলাদেশি ডাক্তার দিয়েই। একটা কথা মনে রাখবেন, ডাক্তার নিজে নিরাপদ তো আপনিও নিরাপদ। ডাক্তার আক্রান্ত তো আপনিও আক্রান্ত এবং চিকিৎসা দেওয়ার মত কাউকে খুঁজেও পাবেন না। তাই ডাক্তারদের নিজেদের আগে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করতে হবে।