বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারকেলারি অ্যালোগ্রাফট ফিক্সেশন (Intercalary Allograft Fixation) পদ্ধতিতে ‘উইংস সারকোমা’ রোগের অস্ত্রোপচারে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড সেন্টার।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড সেন্টারে ময়নাল হোসেনের (২৩) পায়ে এ অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান মাসুদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের সার্জন টিমে ছিলেন অর্থোপেডিক সার্জন ডা. ফসিউল, ডা. রিয়াদ, ডা. হাসান ও ডা. কবীর।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান মাসুদ বলেন, আমরা ক্যান্সার আক্রান্ত হাড়টুকু কেটে হাড় প্রতিস্থাপন করেছি। প্লেট-স্ক্রুর সাহায্যে হাড় জোড়া লাগানো হয়েছে। আমরা এই অস্ত্রোপচারটি করতে সফল হয়েছি।
এ ধরনের অস্ত্রোপচার বাংলাদেশে এর আগে আর কখনও হয়নি। এখন থেকে এই ধরনের অস্ত্রোপচার করা দেশেই সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, হাঁটুর নিচে পায়ের যে মোটা হাড় টিবিয়ার (Tibia) মাঝামাঝি বোন ক্যান্সার (Bone Cancer) হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, ‘উইংস সারকোমা’ (Ewing’s Sarcoma)। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে পা বা ওই অঙ্গ কেটে ফেলতে হয়।
কিন্তু বিশ্বের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত হাড়ের অংশটি ফেলে দিয়ে অন্য মানুষের হাড় দিয়ে রিপ্লেস করে দেওয়া যায়। একারণে আক্রান্ত ব্যক্তির অঙ্গটি কেটে ফেলতে হয় না।
এই পদ্ধতিটি হলো ইন্টারকেলারি অ্যালোগ্রাফট ফিক্সেশন। যা বাংলাদেশে প্রথম হয়েছে।
অস্ত্রোপচারের হাড়টি সংগ্রহের জন্য সহযোগিতা করেছে সাভারের পরমাণু শক্তি কমিশন। স্বল্পব্যয়ে এই সেবা দিতে পারলে মানুষ অনেক উপকৃত হবে বলে জানান তিনি।
তথ্যসূত্র-বাংলানিউজ.কম