০৯ জানুয়ারি, ২০২০
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বুক না কেটে এক রোগীর ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এবং প্রথম পদক্ষেপেই সফলতার নিদর্শন দেখিয়েছেন দেশের একদল গুনী চিকিৎসক।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে এবং হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ মীর জামালের তত্বাবধানে ৬০ বছর বয়সী এক নারী রোগীর শরীরে সফলভাবে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।
সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ প্রদীপ কুমার মিডিয়াকে জানান, ” মানব দেহে হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় যে কয়েকটি ভাল্বের অংশগ্রহন আছে এওর্টিক ভাল্ব এর মধ্যে অন্যতম, যা দিয়ে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালিত হয়। এ ভাল্বটি কোন কারণে সরু হয়ে গেলে এওর্টিক স্টেনোসিস হয় যা দেহে রক্ত পরিবহন বন্ধ করে দেয়। এবং শরীরে নানবিধ উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমনঃ হাঁটলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে ব্যথা, এমনকি রোগী অজ্ঞান হয়ে যাবার মত ঘটনা ঘটতে পারে।
এই রোগের প্রচলিত চিকিৎসার ভিতর একটি হল বুক কেটে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা। এ পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে বুকের পাঁজর কাটতে হয় যেটা সময় সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া রোগী সুস্থ হতেও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।
কিন্তু আমরা যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছি এতে বুকের পাঁজর না কেটে, রোগীকে অজ্ঞান না করে পায়ের কুঁচকি দিয়ে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেছি। যা তুলনামূলক কম ঝূকিপূর্ণ ও সাশ্রয়ী। এবং অপারেশনের ২-৩ দিন পর রোগী বাড়ি ফেরত যেতে পারেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারবেন। ”
রোগীটি বর্তমানে এখন সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়।
ডাঃ প্রদীপ কুমার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ চিকিৎসাপদ্ধতিটি দেশে প্রচলিত হলে অপেক্ষাকৃত কম খরচে রোগীরা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন, যেখানে বিদেশে এ চিকিৎসা নিতে গিয়ে উচ্চমূল্যের অর্থ ব্যয় করতে হত।
প্রতিবেদক/ আব্দুল্লাহ আল মারুফ