রবিবার, ৬ জুন, ২০২১
ডা. মারুফুর রহমান অপু
ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মেডিকেল বায়োটেকনোলজি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত) প্রথম নিশ্চিতকরণ করা হয় ২৮ এপ্রিল। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ডাটাবেইজে বাংলাদেশ থেকে ৩৭টি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য জমা হয়েছে। ৩৭ জনের মাঝে ১২ জনই ভারতই ভ্রমণকালীন আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৩৭টি স্যাম্পলের মাঝে ১৪টি এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এবং মোট ১৯টি স্যাম্পল এসেছে সীমান্তবর্তী জেলা সমূহ থেকে। বাকি নমুনাগুলোও সীমান্তবর্তী জেলার নিকটবর্তী জেলা সমূহ থেকে প্রাপ্ত। ঢাকা থেকে সংগৃহীত নমুনা ৭টি। সীমান্তবর্তী জেলাসমূহ থেকে এভাবে সিলেক্টিভ স্যাম্পল কালেকশন ও সিকোয়েন্সিং এর কারণে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এর প্রাধান্য পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এটি এখনি সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য বলাটি ঠিক হবেনা। সারাদেশের অবস্থা জানতে আরও অনেক বেশি সিকোয়েন্সিং দরকার সব জেলা থেকেই। গত ২৮ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত দেড় মাসের বেশি সময়ে মাত্র ৬১টি নমুনার সিকোয়েন্স GISAID তে জমা হয়েছে। অথচ মার্চ এপ্রিলে আমরা এক মাসেই দেড়শ এর বেশি সিকোয়েন্স দেখতে পেয়েছি।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এদেশে বাড়ছে এতে কোন সন্দেহ নেই তবে ভ্যারিয়েন্ট এর সাথে স্বাস্থ্য বিধির কোন বিরোধ নেই। ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক, আমাদের সবারই মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে, জনসমাগম এড়াতে হবে। নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতেই থাকবে তাতে স্বাস্থ্যবিধির কোন পরিবর্তন হবেনা। ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জানতে হবে গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের যেন সেবাদান কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজন অনুসারে প্রস্তুত করা যায় এবং ভবিষ্যত সংক্রমণের গতিপথ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
চিত্রে সবুজ অংশটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, হালকা লাল অংশটি বেটা (পূর্বে সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত) এবং গাঢ় লাল অংশটি আলফা (পূর্বে ইউকে ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত) ভ্যারিয়েন্ট।