“মন আমার দেহঘড়ি, সন্ধান করি কোন মেস্তরি বানাইয়াছে….একখান চাবি মাইরা দিসে ছাইড়া, জনম ভইরা চলতে আছে!”
এই গান তারা শুনেছিলেন কিনা জানা নেই তবে এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে কারনে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে সেটি হলো জীবদেহের দেহঘড়ি তথা বায়োলজিক্যাল ক্লক অর্থাৎ দিন রাতের পরিবর্তনের সাথে সাথে কিভাবে জৈবিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় তার কৌশল আবিষ্কার।
পৃথিবীতে জীবনের সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর ঘুর্ণন প্রক্রিয়াকে আত্নস্থ করে। বহু বছর ধরেই আমরা জানতাম মানুষ সহ সকল জীবন্ত প্রাণী একটি আভ্যন্তরিন বায়োলজিক্যাল ক্লক মেনে চলে যা দিনের বিভিন্ন সময়ের সাথে একটি নির্দিষ্ট তাল রেখে পরিবর্তিত হয়, একে বলা হয় সার্কাডিয়ান রিদম। কিন্তু এই ঘড়ি আসলে কাজ করে কিভাবে?!
বিজ্ঞানী জেফ্রি সি হল, মাইকেল রোজব্যাশ এবং মাইকেল ডাইব্লিউ ইয়ং সফল হয়েছেন এই বায়োলজিক্যাল ঘড়ির রহস্যভেদে। তাদের আবিষ্কার ব্যাখ্যা করে কি করে এই বায়োলজিক্যাল রিদম পৃথিবীর ঘুর্ণনের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। (প্রেস রিলিজ: goo.gl/j7LWaK)
বিজ্ঞানী জেফ্রি সি হল এবং মাইকেল রোজব্যাশ যুক্তরাস্ট্রের ব্র্যান্ডেইস ইউনিভার্সিটি এবং বিজ্ঞানী ইয়ং রকফেলার ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্কের ফ্যাকাল্টি ছিলেন।
চিকিতসা বিজ্ঞানে এ বছর নোবেল প্রাপ্তিতে তাদের অভিনন্দন জানাই।