শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল আজ থেকে আট বছর আগে। শেষ হয়েছে দেড় বছর হল। কিন্তু ২০০ শয্যার হাসপাতালটি এখনো বুঝে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও চালু হয়নি হাসপাতালটি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিজেদের লোক দিয়ে নির্মাণের পর থেকেই হাসপাতালটি পাহারা দিচ্ছেন। বারবার চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ হাসপাতালটি বুঝে নিচ্ছে না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাহারার ব্যবস্থা করা হলেও হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে। সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল বুঝে না নেওয়ায় সেবা কার্যক্রমও শুরু করা যাচ্ছে না।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা হাসপাতাল বুঝে নেওয়ার জন্য কয়েক দফা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। সেখান থেকে সাড়া না পাওয়ায় হাসপাতাল হস্তান্তরে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ–২ সূত্রে জানা গেছে, “হাসপাতালের নির্মাণ প্রকল্পের নাম ‘কনস্ট্রাকশন অব গভর্নমেন্ট শিশু হসপিটাল অ্যাট রাজশাহী সিটি করপোরেশন’। প্রায় ৩৫ কোটি টাকায় ব্যয়ে নির্মিত ওই হাসপাতালের কাজটি পায় ‘কেএসবিএল অ্যান্ড এইচই (জেভি)’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।”
কেএসবিএল অ্যান্ড এইচই কতৃপক্ষে প্ল্যাটফর্মকে জানায়, হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ২০১৯ সালেই শেষ হয় মূল কাজ। এরপর আরও কিছু বাড়তি কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোও ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হয়। গত ৩০ অক্টোবর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর ভবনটি হস্তান্তরের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এর আগেও তারা লিখিত ও মৌখিকভাবে ভবনটি হস্তান্তর করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, তাঁরা (সিভিল সার্জন অফিস) বারবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। পূর্বের সিভিল সার্জন বদলি হওয়ায় তিনিও কিছু বলতে আগ্রহী হননি।
প্ল্যাটফর্ম/