প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৯ আগস্ট, ২০২০, শনিবার
সারাবিশ্বে প্রায় ১২০টি করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরির কার্যক্রম চলছে এবং ৭টি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরির কার্যক্রম চালাচ্ছে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাংলাদেশে সরবরাহ করবে ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ওই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পেটেন্ট নিয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকাটি উৎপাদন করার দায়িত্ব পেয়েছে এবং ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই বেক্সিমকো একটি চুক্তি করেছে বলে জানানো হয়।
২৮ অগাস্ট (শুক্রবার) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়,
“ভ্যাকসিনটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে প্রথম যে দেশগুলো ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ হবে তার মধ্যে একটি।”
সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশের বাজারে শুধুমাত্র বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসই সরবরাহ করতে পারবে। সংখ্যার হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনটি বাদেও করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য আরো দু’টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পরিচালনা করছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, ভ্যাকসিনের খরচ এবং কত দ্রুত এটি পাওয়া যাবে, এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারা সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করেন। এরই মধ্যে বিশ্বে ৬৭০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন বুক করা হয়ে গেছে। তাই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার জন্য ট্রায়ালগুলো খুব কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা আর ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা বাড়ানো, এই দু’টি জিনিস প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন কিনে নিচ্ছি, বিষয়টা সে রকম নয়। সেরাম ইনস্টিটিউট যেন কম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারে, সেই লক্ষ্যে বেক্সিমকো তাদের সহায়তা করছে। বিশ্বের ‘সবচেয়ে সস্তা’ ভ্যাকসিন সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের জন্য কত খরচ করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও রাব্বুর রেজা জানান,
“কী পরিমাণ ভ্যাকসিন নেয়া হবে, তার ওপর ভ্যাকসিনের দাম অনেকাংশে নির্ভর করছে। আমরা এরই মধ্যে সরকারের সাথেও আলোচনা শুরু করেছি। আমরা চাইবো যত কম খরচে সম্ভব, এই ভ্যাকসিন যেন মানুষকে দেয়া যায়। সেরাম ইনস্টিটিউট আমাদের নিশ্চিত করেছে যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন হবে।”
বেক্সিমকো এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করার পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও বাজারজাত করবে বলে জানিয়েছেন রাব্বুর রেজা। বাংলাদেশে এরই মধ্যে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত টিকাটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ এবং সেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করে তুলতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি