সরকারি সিদ্ধান্তে সাভারের আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম বন্ধের প্রতিবাদে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ওই কলেজ ক্যাস্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে সোমবার অবরুদ্ধ করে রাখা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন জামান চৌধুরীকে উদ্ধার করেছে।
মেডিকেল কলেজ পরিচালনার নীতিমালা ভঙ্গ করায় গত রোববার আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজসহ তিনটি মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন ভিনদেশ, বিশেষ করে ভারত আর নেপাল থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস খালি করে দেয়ায় এখন তারা কোথায় যাবে। তাদের নিরাপত্তাই বা কি এসব প্রশ্ন নিয়েই ক্ষুব্দ ভিনদেশি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাসপাতালে ইনডোর বা আউটডোরে কোনো রোগী নেই। সরকারি কোনো মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কর্মকর্তা আসলে ভাড়া করে রোগী আনা হয়।
আমাদের শিক্ষা জীবন যাতে নষ্ট না হয় তাই সরকারের কাছে সমাধান চাই। এরই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার মেডিকেল কলেজটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে বিক্ষোভে নামে শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, সোমবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন জামান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্যে ক্যাস্পাসে গেলে নিজেদের শিক্ষা জীবনের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ এনে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
টান টান উত্তেজনা ও বিক্ষোভের মধ্যে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ অভিযানে নামলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে শিক্ষার্থী পুলিশসহ আহত হয় ২০ জন। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় ব্যাপক ভাংচুর চালায় কলেজটিতে। অভিযানে আন্দোলনে থাকা সব শিক্ষার্থীকে বের করে দিয়ে খালি করে দেয়া হয় ক্যাম্পাস। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন জামান চৌধুরী জানান, এখনো মন্ত্রাণালয়ের কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তবে কী সমস্যার কারণে এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হলো বিষয়টি আমরা দেখে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।
এ ছাড়া কয়েকজন ভারতীয় ও নেপালী শিক্ষার্থীরা তাদের পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ধরার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি সংশ্রিষ্ট হাইকমিশনের সহযোগীতা চান।
সংঘর্ষ ও ভাংচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ওসি মহসীন কাদির জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
সূত্রঃ http://www.jugantor.com
পুলিশ আইনে বাধা, ওদেরই বা কি করার আছে??? সাধারন শিক্ষার্থিদের উপযুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনা হোক