গত ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯ঃ৩০ এর দিকে দুজন সন্ত্রাসী সমীর দাস ও টিটু দাস নাসিরনগর উপজেলা হাসপাতালে এসে ভাংচুর, মারধোর ও অগ্নিসংযোগ করে। সন্ত্রাসী দুজন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ জীবন চন্দ্র দাস কে ভয় দেখানো, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরীকভাবে আঘাত করতে এলে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ ছায়েদ মোল্লা তাদেরকে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তারা মোঃ ছায়েদ মোল্লা কে প্রচন্ড মারধোর করে এবং আঘাতে তার হাত ভেঙ্গে যায় এবং তিনটি দাঁত পড়ে যায়। তাছাড়া তার সমগ্র শরীরে কিলঘুষি এবং বাশ দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছায়েদ মোল্লার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে সদর হাসপাতাল ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় রেফার্ড করা হয়।
সস্ত্রাসীরা এছাড়াও নার্সিং ডিউটি রুমে ঢুকে দায়িত্বরত নার্সদেরকে ভয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে এবং হাসপাতাল চত্বর ত্যাগ করার পূর্বে অগ্নিসংযোগ করে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।
পরদিন ২৭ ডিসেম্বর পুলিশ সন্ত্রাসী দুজনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা এর প্রস্তুতি চলছে।
তথ্যসূত্রঃ ”নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স” ফেসবুক পেজ ও দৈনিক ইত্তেফাক
স্টাফ রিপোর্টার/ জামিল সিদ্দিকী