১৫ মে, ২০২০, শুক্রবার
ডা. ঝুনু শামসুন্নাহার
অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি,
বিএসএমএমইউ
মানুষ কেন নিজেকে আঘাত করে?
· নিজেকে আঘাত করার মধ্য দিয়ে রোগী তার মনের কষ্ট প্রকাশ করে।
· কষ্টকর মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চায়।
· কখনো কখনো নিজেকে আঘাত করে পরিবারের অন্য সদস্যদের আচরন পরিবর্তন করতে চায়।
· যন্ত্রনাদায়ক পরিবেশ থেকে অব্যাহতি চায়।
· অন্যের ভেতরে অপরাধ বোধ তৈরী করতে চায়।
· নিজেকে আঘাত করা, সাহায্য চাওয়ার একটা ধরন।
কিছু ফ্যাক্টর নিজেকে আঘাত করার প্রবনতা বাড়িয়ে দেয়ঃ
· বয়স।
· নিজেকে আঘাত করে এমন বন্ধু-বান্ধবের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য অর্জন।
· নেতিবাচক ঘটনা সমুহ।
· মানসিক রোগ।
· মাদকাসক্তি।
নিজেকে আঘাত করার ঠিক পরেই কি হয়?
· রোগী একটু ভালো বোধ করে।
· কাজে মনোনিবেশ করতে পারে।
· মনোসংযোগ বৃদ্ধি পায়।
· নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত মনে করে।
· শান্ত ভাব ফিরে আসে।
· রিল্যাক্স বোধ করে।
পরবর্তীতে কি হয়?
· অপরাধ বোধের সৃষ্টি হয়।
· লজ্জা বোধ হয়।
· স্টিগমা তৈরী হয়।
· নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রাখে।
· সহজে মিশতে চায় না।
প্রগনোসিস (Prognosis)
· পরবর্তীতে আত্মহত্যা করার প্রবনতা বেড়ে যায়।
· নিজেকে আঘাত করা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যেতে পারে।
রোগীর এসেসমেন্ট করাঃ
· রোগীর এখনই আত্মহত্যার ঝুঁকি আছে কি না।
· পরবর্তীতে নিজেকে আঘাত করার ঝুঁকি কেমন?
· বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত পর্যালোচনা।
এসেসমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে এর চিকিৎসা দেয়া হয়। SELF HARM এর চিকিৎসা সাধারনত দীর্ঘমেয়াদী হয়। তবে মোটিভেশন থাকলে ও লেগে থাকলে এর ফলাফল ভাল। ডায়ালেকটিকাল বিহেভিয়েরাল সাইকোথেরাপী (DIALECTIVAL BEHAVIORAL THERAPY) এক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। প্রয়োজনে ওষুধও দেয়া হয়।