১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারী লাইসেন্স না থাকায় ও মেয়াদোত্তীর্ণ সরঞ্জাম দিয়ে প্যাথলজি পরীক্ষা চালানোয় গত কয়েকদিনে নোয়াখালীর সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ এলাকায় সাতটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমাদুল হাফিজ নাদিম এর অভিযানে মনোয়ারা জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারী হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং হাসপাতালের পরিচালক শাহরিয়ার ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
একইদিনে সন্ধায় অর্শ্ব,গেজ,পাইলস ইত্যাদির এক কোয়াক বা ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত। এম ইউ সবুজ(৪০) নামে ঐ ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা করে আসছিলেন।
জানা গেছে, এর আগে বুধবার লাইসেন্স না থাকায় বিভিন্ন স্থানে আরও ছয়টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছেন জেলা সিভিল সার্জন মোঃ মোমিনুর রহমান। বন্ধ করা হাসপাতালগুলো হচ্ছে সেনবাগ প্রাইভেট হাসপাতাল, লাইফ স্কয়ার হাসপাতাল, মায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল, এম এ লতিফ ডায়াবেটিক হাসপাতাল, আলিফ জেনারেল হাসপাতাল ও মনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মোঃ মোমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং তার জেলার নাগরিকদের সঠিক চিকিৎসার নিশ্চয়তার স্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অভিযানে সহায়তা করার জন্যে তিনি তার কার্যালয়ের চিকিৎসক হোসেন মোঃ আরাফাত, জেলা ড্রাগ সুপার মাসুদুজ্জামান খান ও সুধাপুর ও বেগমগঞ্জ থানার পুলিশদের ধন্যবাদ জানান।