প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৮ এপ্রিল, ২০২০:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে এক নারী চিকিৎসককে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিভাগে কর্মরত আছেন। তবে বাড়িওয়ালার দাবী, তিনি জানতেন না যে ওই নারী একজন চিকিৎসক।
শিমুলিয়া গ্রামে মোহাম্মদ আলীর বাসায় তার ছোট বোনের পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকেন এ নারী চিকিৎসক। তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লায়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত সব নিয়ম কানুন মেনে সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ গত মঙ্গলবার
(১৪ এপ্রিল) বিকালে ছোট বোন আমাকে বলে, আমি যেন আর তাদের বাড়িতে না যাই। ওই দিন সন্ধ্যার সময় বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী আমাকে অপমানজনক কথা বলেন। তার বাসায় যেতে নিষেধ করেন। বাড়ির মালিকের ধারণা, আমার বাইরে যাওয়া-আসার কারণে তারা করোনা আক্রান্ত হবেন।’
যানবাহন বন্ধ থাকায় কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ীতে যেতে না পেরে গত ২ দিন থেকে সোনাইমুড়ীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের একটি কক্ষে কোনও রকমে থাকছেন।
ওই চিকিৎসকের স্বামী জাহিদুল হাসান কুমিল্লা ডায়বেটিক হাসপাতালের জুনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি জানান, অমানবিক আচরণ এ আচরণ কখনোই কাম্য নয়, সরকারের কাছে আমি এর বিচার চাইবো৷
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিকে অবহিত করা হলেও কিন্তু, গত ২ দিনেও তারা কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, ‘সংসদ সদস্য মহোদয় থেকে আমি এইমাত্র অবগত হয়েছি। তিনি যদি এ ব্যাপারে সহযোগিতা চায় তাহলে সহযোগিতা করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল বলেন, “ওই চিকিৎসকের স্বামী তাকে বিষয়টি অবহিত করলে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেছেন। ”
বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী প্রথমে অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এবং তিনি আরো উল্লেখ করেন মহিলা যে হসপিটালে কর্মরত একজন চিকিৎসক সেটা তিনি জানতেন না৷
নিজস্ব প্রতিবেদক / শেখ লুৎফুর রহমান তুষার