সম্প্রতি প্রকাশিত হল “ন্যাশনাল গাইডলাইন অন থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট” যা থ্যালাসেমিয়ার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশকে অনেকাংশে মুক্তি দিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে।
থ্যালাসেমিয়া একটি অটোজোমাল মিউট্যান্ট প্রচ্ছন্ন জিন গঠিত বংশগত রক্তের রোগ যাতে রক্তের অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। এতে আক্রান্ত ব্যাক্তি রক্তশূন্যতায় ভোগে এবং ব্যাক্তির বাকি জীবন নিয়মিত রক্তসঞ্চালন সহ ব্যায়বহুল চিকিৎসার শরণাপন্ন থাকতে হয়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।
এর ভয়াবহতা অনুধাবন করেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর “ন্যাশনাল গাইডলাইন অন থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট” প্রকাশ করেছে যাতে থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সকল তথ্য ও এর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এমনকি গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় সম্পর্কিত তথ্য ও ব্যবস্থাপনাও সংযোজন করা হয়েছে।
এই গাইডলাইনটি থ্যালাসেমিয়ার উন্নত চিকিৎসা, প্রতিকার ও প্রতিরোধে বিস্তর ভূমিকা পালন করবে।
স্টাফ রিপোর্টার
সায়েদা নাফিসা ইসলাম