প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২১শে নভেম্বর, শনিবার, ২০২০
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জিয়াউদ্দিন মো. সাকিব ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীর উপর হামলা এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুরের অভিযােগে গত ৯/১০/২০ তারিখে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২ জন আসামি গ্রেপ্তার হলেও মামলার ১ নং আসামি গত দেড় মাস পলাতক ছিল বলে জানা যায়।
গত ২০শে নভেম্বর রোজ শুক্রবার রাতে ১ নং আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও পুলিশ দ্রুত চার্জশিট দাখিল করবে বলে নিশ্চিত করেছে উক্ত ঘটনার ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সের অন্যান্য চিকিৎসক এবং প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরো বলেন-
“আমরা শুরু থেকে শক্ত অবস্থানে ছিলাম।
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও স্যারদের আন্তরিক সহায়তায় এটি সম্ভব হয়। পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সহযােগিতার জন্য। ভবিষ্যতের জন্য সবার দোয়াপ্রার্থী।”
উল্লেখ্য, গত ৯ই অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুর প্রায় ১২.০০ ঘটিকার দিকে সন্ত্রাসী হামলায় নিজস্ব কর্মস্থান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জিয়াউদ্দিন মো. সাকিব আহত হন। মূলত, পানিতে ডুবে যাওয়া একজন শিশুকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা, যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নপূর্বক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা দিয়ে মৃতদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করেন কর্তব্যরত এই চিকিৎসক। তারা মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি গেলে মৃতদেহে পেশির সংকোচন লক্ষ্য করলে শিশুটির স্বজনরা দলেবলে হাসপাতালে এসে শিশুটির বেঁচে থাকা দাবী করতে থাকে এবং চিকিৎসকের উপর বেধড়ক হামলে পড়ে।