সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে শর্তাবলী হিসেবে প্রত্যেক চিকিৎসকের ‘বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও বিগত ৬ মাসের বায়োমেট্রিক হাজিরাসহ প্রতিবেদন’ দাখিল বাধ্যতামূলক করে যে অফিস আদেশ (স্মারক নং- ডিজিএইচএস/এইচ.আর.এম/জুনিয়র কনসালটেন্ট পদোন্নতি/২০১৯/১০৬৬৯; তারিখ: ০১/১০/২০১৯ খ্রি: এবং (স্মারক নং- ডিজিএইচএস/এইচ.আর.এম/সিনিয়র কনসালটেন্ট পদোন্নতি/২০১৯/১০৬৬৮; তারিখ: ০১/১০/২০১৯ খ্রি:) জারি করেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং The BCS Recruitment Rules 1981 অনুযায়ী পদোন্নতি নীতিমালার পরিপন্থী।
বাংলাদেশের অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা ক্যাডার সার্ভিসে কর্মরত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এরূপ কোন নীতিমালা বা বিধান নেই। শুধুমাত্র চিকিৎসক বা বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য এরূপ একটি অনাকাঙ্ক্ষিত আদেশ চাপিয়ে দেওয়া সরকার প্রধানের “আন্ত ক্যাডার বৈষম্য সৃষ্টি হয় এমন কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করার” নির্দেশনার পরিপন্থী বলে বিএমএ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বিএমএ নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি লিখিত আকারে বিগত ২৩-০৪-২০১৯ খ্রি: তারিখে উপস্থাপন করেন এবং কিছুদিন পূর্বেও মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাতেও আবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় সাক্ষাতেই মাননীয় মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ বিষয়ে বিএমএ’র সাথে একমত পোষণ করেন। অথচ মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেই ইতিবাচক সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ধরনের একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ায় বিএমএ এর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন চিকিৎসক তার অফিস চলাকালীন নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে হাজির হয়ে নিজ দায়িত্ব পালন করবেন ও যথাসময়ে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পদোন্নতির ক্ষেত্রে The BCS Recruitment Rules 1981 অনুযায়ী পদোন্নতি নীতিমালার পরিপন্থী কোন আদেশ বিএমএ মেনে নেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিএমএ উক্ত অফিস আদেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীর জন্য অনুসরণীয় বিদ্যমান বিধান ও নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবী জানায়। একই সাথে পদোন্নতির আবেদনের সাথে ‘বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও বিগত ৬ মাসের বায়োমেট্রিক হাজিরাসহ প্রতিবেদন’ দাখিল না করার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানায়।”
স্টাফ রিপোর্টার/মোঃ আহসান হাবীব ইরফান