প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৯ জুলাই ২০২০, রবিবার
গত ১৫ জুলাই(বুধবার) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকদের জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ বা স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু হলে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে এবং পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, কোনো করোনা যোদ্ধা অসুস্থ হলে তাঁকে দেওয়া হবে ১ লাখ রুপির আর্থিক সহায়তা।

রাজ্যে এ পর্যন্ত ১২ জন সরকারি কর্মীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে। যেসব করোনাযোদ্ধা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন, তাঁরা এখন করোনা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে চাইলে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে বলে মন্তব্য করেন মমতা। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন করোনাযোদ্ধার হাতে মানপত্র ও মেডেল তুলে দেন।

তিনি সবাইকে সচেতন করতে বলেন, আগামী দুই মাসে রাজ্যে করোনার চরম আকার ধারণ করতে পারে, তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা ভবনে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এ কারণে বিধানসভার সব দপ্তর আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১২ জন কর্মী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এ জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার সব কার্যক্রম। এছাড়া আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাওড়ার উলবেড়িয়া ও হুগলির শ্রীরামপুর পৌরসভার কার্যক্রম। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৭৮হাজার ৭৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা নতুন ১০ জন সহ ২৬ হাজার ৮৩৮ এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৬ জন।