১৮ জুলাই ১৭ ইং মঙ্গলবার বিকালে গৌরীপুর হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে কলেজ শিক্ষার্থীরা।
এতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন অফিসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলার ঘটনায় পুলিশ তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি। সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( দাউদকান্দি সার্কেল) মহিদুল ইসলাম, দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি ( তদন্ত) রনজন কুমার ঘোষ, গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বিপুল পরিমান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল-আমিন।
জানা যায়, মঙ্গলবার দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ইয়ামিন ভূইয়া (১৮) বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে উক্ত কলেজের পুকুরে ডুব দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। ইয়ামিনের বন্ধুগণ সে কত মিনিট পানিতে ডুব দিয়ে থাকতে পারে এ নিয়ে বাজি ধরলে ইয়ামিন পুকুরে ডুব দিয়ে অনেকক্ষন থাকার পর আর না উঠলে বা সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত হলে তার বন্ধুগণ তাকে পুকুর থেকে উঠিয়ে স্থানীয় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ আল আমীন মিয়াজী কলেজ ছাত্র ইয়ামিনকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ঘোষণা করার পর ইয়মিনের বাবা পুত্রের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন এবং গৌরীপুর বাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইয়ামিনকে ইসিজি করতে নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ইয়ামিনের বন্ধুগণ হঠাৎ করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ভাঙচুরের সময় পুলিশ জুরানপুর কলেজের ছাত্র অনার্স প্রথম বর্ষের অনুপম, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র জামাল ও নবিল হাসানকে গ্রেফতার করে।
তথ্য ও ছবি ঃ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, দাউদকান্দি প্রেসক্লাব