১৫ই এপ্রিল,২০২০
ঘাতক করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনের উহান শহরে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দেশেও। বিশ্বব্যাপী চলছে এখন করোনা তান্ডব। রহস্যময় এই ভাইরাসের প্রকোপ এখন বাংলাদেশে। কোথাও নভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে সেই বাড়ি লকডাউন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
পুরান ঢাকার মোট ৯টি থানা মিলিয়ে ৬৬ জনের আক্রান্তের তথ্য জানা গেছে। অতি সংক্রামক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতিমধ্যে পুরান ঢাকার তিন শতাধিক ভবন ‘লকড-ডাউন’ করা হয়েছে বলেন সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর পুলিশ কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে গতকাল সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারের একটি ভবনে উওম ধর নামক ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে লাশের কাছে যাচ্ছেন না কেউ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিকালে ওই ভবন ঘিরে রাখে। তার মৃত্যুর বিষয়ে আইইডিসিআরকে জানানো হলেও নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা রাত ১০টা পর্যন্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান।
শাঁখারিবাজারের ৪৭/১ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় নিজের বাসায় সোমবার উত্তম ধর (৫৫) মারা জান। তার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, তিন দিন আগে উত্তমের স্ত্রী কল্পনা ধর (৪৫) মারা গেছেন। তখন তাদের ছেলে বলেছিল, তার মা ‘স্ট্রোকে’ মারা গেছেন; কিন্তু উত্তম ধরের ভাবি মীরা ধর নভেল করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উত্তমের ছেলে জনিও কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। সে কারণে উত্তমও করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন বলে সবাই সন্দেহ করছেন।
এলাকার (৩৬ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে মৃতদেহটি পুলিশ ও তার স্বজনরা উদ্ধার করে বাকি কাজ করতে পারে; কিন্তু এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বিকাল ৪টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান করছে। আইইডিসিআর, জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুম, ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবকে ঘটনাটি জানানো হলেও রাত ১০টা পর্যন্ত কেউ নমুনা নিতে আসেননি।
স্টাফ রিপোর্টার
নুরুন্নাহার মিতু