অনুবাদ ঃ ডাঃ যোবায়ের মোমিন, Master Trainer, Nutrition & Health Dept,ACF International, Dhaka, Bangladesh
প্রথম ছোঁয়াচে ক্যান্সারের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানিরা যা প্রাণিজগতের এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়াবে। তাঁরা ভাবছেন যে সব ক্যান্সার ভাইরাসের মত ছড়াবে, সেগুলো আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি ব্যাপকভাবে ছড়াবে।
এখনো পর্যন্ত আট ধরণের ছোঁয়াচে ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে কুকুরের ভেতর এক প্রকার এবং তাসমানিয়ান ডেভিলের ভেতর দুই প্রকার এমন ক্যান্সারের কথা আমরা জানি। কিন্তু একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় মলাস্কা এবং তাদের নিকটবর্তী গোত্রগুলোর মাঝে আরও পাঁচ ধরণের ছোঁয়াচে ক্যান্সার খুজে পাওয়া গেছে।
গবেষণা দলের প্রধান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের স্টিফেন গফের মতে, কিছু ক্যান্সার বাইভেলস (bivalves) নামক একদল সামুদ্রিক প্রাণীর মাঝে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়াচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক রিপোর্টে প্রফেসর সারাহ কাপলান বলেন, কানাডা থেকে সংগৃহীত শামুক এবং স্পেনের উপকূল থেকে সংগৃহীত দু’রকমের ঝিনুকে লিউকিমিয়ার মত ক্যান্সার পাওয়া গেছে। তিনটা ক্ষেত্রেই গফ এবং তার দল দেখেছেন পানির নিচে বসবাস করা এসব প্রাণীকুলের মাঝে ক্যান্সার এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে ছড়াচ্ছে।
এটা হতে পারে, যে সকল অসুস্থ বাইভালস জাতীয় প্রাণী মৃত্যুর সময় ক্যান্সার কোষ ত্যাগ করছে আর এই কোষগুলো অনেকদিন বেঁচে থাকছে এবং পরবর্তিতে অন্য কোন প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করছে। শামুক এবং এই দুই প্রকারের ঝিনুকই নিষ্ক্রিয় পরিস্রাবণভোজী। সবারই অনুন্নত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোন আক্রমণকে প্রতিহত করার মত ক্ষমতা কারোরই নেই।
গবেষকদের মতে, আক্রান্ত প্রজাতিগুলো একে অপরের সাথে ক্যান্সার কোষে বিনিময় করে যার মানে আমরা মানুষদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এখন স্পষ্ট।
ক্যামব্রিজ প্রাণীবিদ্যালয়ের এলিজাবেথ মারকিশন, যিনি এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন না, “ন্যাচার” পত্রিকায় এক বিশ্লেষণে লেখেন, “এই ফলাফলগুলো দেখে মনে হয় শেল ফিসের বসবাসের স্থানগুলো যেগুলো ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যান্সার কোষ বয়ে বেড়াচ্ছে তারা একই প্রজাতির বিভিন্ন প্রাণীর মাঝে এবং এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ক্যান্সার কোষ ছড়াচ্ছে।
গফ ওয়াশিংটন পোস্টে বলেন, এখনও পর্যন্ত জ্ঞাত অনেক ক্যান্সারই হয়ত ছোঁয়াচে ক্যান্সারে রূপ নিবে। সামুদ্রিক প্রজাতিগুলোর মাঝে কতগুলো যে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে আমরা তা ঠিক জানি না।
এবং এর ফলাফল হতে পারে খুবই ভয়ংকর। কানাডার উপকূলে ঝিনুকের উপর এক গবেষণা তেমনটাই বলে।
এই গবেষণার সহকারী গবেষক জিম শেরি সিবিসি নিউজকে বলেন, আমরা এমন এলাকা খুঁজে বের করতে পারি যেখানে অধিকাংশ ঝিনুক এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে, বিশেষত যদি গ্রীষ্মকালে অনেক গরম হয় এবং রোগবালাই চলতেই থাকে।
আমাদের পরবর্তি কাজ হল আরও নিবিড়ভাবে সেইসব পরিব্যক্তি (mutation) খুঁজে বের করা যা এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে স্থানান্তরিত হয়।
এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয় “ন্যাচার” পত্রিকায় ।
ভিডিও লিঙ্কঃ
মূল লিঙ্ক ঃ http://www.sciencealert.com/scientists-discover-the-first-contagious-cancer-that-can-spread-between-species
Thank you