প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৩ আগস্ট, ২০২০, বৃহস্পতিবার
বিদেশ ফেরত এক নাগরিকের দেহে নতুন করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো লকডাউন দিয়েছে ভুটান। সম্প্রতি কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই ব্যক্তি রাজধানী থিম্পুর অনেক বাসিন্দার সংস্পর্শে আসেন এবং গত সোমবার তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।
বিদেশফেরত এ ব্যক্তিকে নিয়ে হিমালয়ের ছোট এ দেশটিতে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১১৩-তে দাঁড়িয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের এক পর্যটকের দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ার পর, ট্যুরিজমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি ভুটানের কর্তৃপক্ষ বিদেশফেরত প্রত্যেককে তিন সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল।
করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ফল ‘নেগেটিভ’ আসার পর কুয়েত থেকে আসা ২৭ বছর বয়সী এক নারী সম্প্রতি কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। সোমবার একটি ক্লিনিকে করা শনাক্তকরণ পরীক্ষায় তার দেহে এ ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। কর্তৃপক্ষ এর পরপরই দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা দেয়। ভুটানে সংক্রমণের চেইন ভেঙে দিতে, রোগী শনাক্ত ও তাদের আইসোলেশনে রাখতে এ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। উপসর্গবিহীন রোগী, সংক্রমণের বিস্তৃতি ও রোগটি থেকে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে।
ঘোষিত লকডাউনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাণিজ্যিক স্থাপনা বন্ধ থাকবে। স্থগিত করা হয়েছে সব ধরনের পরীক্ষাও। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই থাকতে বলা হয়েছে।
করোনার বিস্তার রোধে দেশটিতে ঢোকার সব প্রবেশপথে যাচাই-বাছাই, পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ পরীক্ষার ওপর জোর দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিও। বাণিজ্যিক যাতায়াত বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভুটানের নাগরিকদের নিয়ে আসতে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ রয়টার্স