প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ০৪ই আগস্ট, ২০২২, বৃহস্পতিবার
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ০৩ই আগস্ট, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমে গ্রেফতারের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দিব্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।
এর আগে ১ আগস্ট, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলার দুই আসামি সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কাজেও যোগ দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এছাড়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাস শুরু করেছেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত সোমবার রাত থেকে আন্দোলন শুরু হয়। মঙ্গলবার পুলিশ, হাসপাতাল প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় ওসমানী হাসপাতালের জরুরি ও হৃদরোগ বিভাগ ছাড়া সকল বিভাগে কার্যক্রম বন্ধ রাখেন ইন্টার্নরা এবং ক্লাস বন্ধ রাখে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীরা। ওসমানী মেডিকেল কলেজের হল রুমে আয়োজিত এ বৈঠকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সিওমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল মোন্তাকিম চৌধুরী বলেন, “মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বাড়াতে প্রশাসন দ্রুততম সময়ে কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচী স্থগিত করেছি। তবে সাত দিনের মধ্যে সব আসামির গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে আবার আন্দোলনে নামবো।”
ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্চিতের অভিযোগে ৮ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওসমানী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিএ-টু প্রিন্সিপাল ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহমুদুল রশিদ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় ৮ আসামির নাম হলো- দিব্য, আব্দুল্লাহ, এহসান, মামুন, সাজন, সুজন, সামি ও সাঈদ হাসান রাব্বি।