An Idea can change Life…আর সে আইডিয়া যদি ডাক্তারের হয়-An Idea can SAVE LIVES, MILLION LIVES. ১৯৭৮ সালে খাবার স্যালাইনের ব্যাপক ব্যবহার শুররু আগে সারা বিশ্বে কেবল ডায়রিয়ায় প্রতি বছর ৫০ লক্ষ শিশু মারা যেত, এক খাবার স্যালাইনের কারণে ডায়রিয়াজনিত মৃত্য হার কমে ১৮ লক্ষে নেমে এসেছে। আর হ্যাঁ, পৃথিবীর দ্বিতীয় জীবন রক্ষাকারী ওআরএস (এন্টিবায়োটিক প্রথম) আবিষ্কারের সাথে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে আছে। কোটি মানুষের শরণার্থী শিবিরে তখন কলেরার মহামারী আসন্ন, একটি শিবিরে আইভি স্যালাইন শেষ। জন হপকিন্সের ডাঃ ডিলিপ মহালনবিশ এতগুলো মানুষকে চোখের সামনে মরে যাবে মেনে নিতে পারেন নি, তিনি তাঁর সহকারীদের নিয়ে মুখে খাওয়ানোর স্যালাইন বানিয়ে দিতে শুরু করেন। ঐ ক্যাম্পেই বাঁচে অন্তত ৩০০০ বাংলাদেশীর প্রাণ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষকদের ভাষায় আইভি স্যালাইনে যেখানে মৃত্যু হার ৩০% ছিল, হাতে বানানো মুখে খাওয়ানো স্যালাইনে মৃত্যু হার মাত্র ৩.৬%।
আইডিয়া-মেডিকেল রিসার্চ-চিকিৎসক এই তিনের গল্প লিখতে গিয়ে বাংলাদেশের পুরনো ইতিহাস, গর্বের ইতিহাস মনে পরে গেল। খাবার স্যালাইন, কলেরা ভ্যাক্সিন ইত্যাদি আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বির সাথে প্ল্যাটফর্ম(চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন) এর হয়ে এক সাথে একটি ছোট কাজ করতে পাড়ার গর্বটুকু শেয়ার করে নিচ্ছি। তবে এ লেখার উদ্দেশ্য ভিন্ন। দু’টো মেডিকেল রিসার্চ, একটি টেলিমেডিসিনের কাজ(এই প্রজেক্টটি স্বয়ং বিল গেটসের কাছে প্রেজেন্ট করেছে কয়েকজন বাংলাদেশি) এর সাথে প্ল্যাটফর্মের সংযুক্তি এবং এই তিনটি কাজেই স্বল্প সংখ্যক মেডিকেল শিক্ষার্থী, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, এনেস্থেশিয়া ও সার্জারি বিষয়ে ট্রেইনি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অংশগ্রহণের সুযোগের কথা জানাতে এ লেখা।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর রিসার্চ প্রজেক্টে সহযোগিতার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষানবিশ চিকিৎসক, শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
কানাডা প্রবাসী একজন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের রিসার্চ প্রজেক্ট এর জন্যে এনেস্থেশিয়া ও সার্জারি বিষয়ে ট্রেইনি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। দেশব্যাপী এ গবেষণাটি পরিচালিত হবে এবং পর্যায়ক্রমে সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল এবং অন্যান্য পর্যায়ের হাসপাতালে সম্প্রসারিত হবে।
অভিনব পরিকল্পনা ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বাস্থ্য খাতে বিদ্যমান প্রধান কয়েকটি সমস্যা সমাধানে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্টের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বেশ কয়েকজন খণ্ডকালীন চিকিৎসকের সংযুক্তি প্রয়োজন। কোয়াকদের দৌরাত্ম্য, অনুপস্থিত রেফারেল সিস্টেম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে কোয়ালিটি সেবা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নূন্যতম ১ বছর গ্রামে সেবা দেয়া চিকিৎসক, মেডিসিন ও চর্ম বিষয়ে পার্ট ওয়ান করা চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আগ্রহী সকল চিকিৎসক, মেডিকেল স্টুডেন্টদের গুগল ফর্মটি পূরণ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। https://docs.google.com/forms/d/1O6oASZA52G84rTc1dG73eQavUMJDre6VhvUSChXImDc/viewform?c=0&w=1
শুধুমাত্র ৫২,৭১ কিংবা ৯০এর গর্বের নিষ্ক্রিয় উত্তরাধিকার নয় প্রতিদিন গর্ব করার মত কাজের সক্রিয় অংশীদার হতে পারলেই বাংলাদেশ পৃথিবীর সেরা দেশ হবে। শ্রদ্ধেয় গবেষক দুজন এবং প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ ভুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশকে মনে রাখার জন্য, বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করার জন্য।
ডাঃ মোহিব নীরব