প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২০, বৃহস্পতিবার
লেখাঃ ডা. ইসমত কবীর
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, ইংল্যান্ড
ম- ১৮
ফিনল্যান্ড এর হেলসিংকি এয়ারপোর্টে যাত্রীদের মধ্যে উপসর্গ ছাড়া কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করার জন্য আজ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে গন্ধ-শোঁকা কুকুর বা ‘স্নিফার ডগ’।
বোমা বা অস্ত্র, নিষিদ্ধ ড্রাগ, বিদেশি মুদ্রা শনাক্ত করার জন্য প্রশিক্ষিত কুকুর আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। সাম্প্রতিককালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে জটিল ক্যান্সার নির্ণয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্ত্রের ক্যান্সার শনাক্তে এর সাফল্যের হার শতকরা সাতানব্বই ভাগ। এ তালিকায় এখন যুক্ত হলো কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ। গবেষনায় দেখা গিয়েছে প্রশিক্ষিত কুকুর শতভাগ সফলতার সাথে এ কোভিড-১৯ এর রোগী চিহ্নিত করতে সক্ষম হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ ও ‘ডারহাম ইউনিভার্সিটি’ সম্মিলিতভাবে কোভিড-১৯ রোগ চিহ্নিত করায় গন্ধ-শোঁকা কুকুর এর ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করছে। দাতব্য সংস্থা ‘মেডিক্যাল ডিটেকশন ডগস’ এতে সহায়তা দিচ্ছে।
গত আগষ্ট মাসে শুরু হওয়া এ গবেষণায় এগারোটি হাসপাতালের সাড়ে তিনহাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই যুক্তরাজ্যের এয়ারপোর্টে যাত্রীদের কোভিড-১৯ শনাক্ত করার জন্য গন্ধ-শোঁকা সারমেয় বাহিনীর ব্যবহার শুরু হবে। একটি দক্ষ কুকুর প্রতি ঘণ্টায় দু’শো পঞ্চাশজন যাত্রীর পরীক্ষা (স্ক্রিন) করতে পারবে। এতে করে করোনাকালে এয়ারপোর্টে যাত্রী সেবায় একটা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।
মানুষের নাকে গড়পড়তা পঞ্চাশ লক্ষ ‘স্মেল-রিসেপ্টর’ থাকে, কুকুরের নাকে রিসেপ্টর এর সংখ্যা ত্রিশ কোটি। কুকুরের গন্ধ নেওয়ার ক্ষমতা মানুষের থেকে অন্তত দশ হাজার গুণ বেশি। ‘ব্লাড হাউন্ড’ জাতের কুকুর এ কাজে এত দক্ষ যে একে ব্যবহার করে লব্ধ প্রমাণ আদালতেও গ্রহণযোগ্য।
তথ্যসূত্রঃhttps://www.medicaldetectiondogs.org.uk/covid-19-dogs/