ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর পূর্বে ২০১৮ সালের নভেম্বরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগছেন বলে জানিয়েছিলেন তার ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ শাফায়াত ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, সৈয়দ আশরাফ গুরুতর অসুস্থ। তার ফুসফুসের ক্যান্সার বর্তমানে চতুর্থ স্টেজে আছে। তিনি কাউকেই চিনতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে তার পক্ষে রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। আমরা এখন রাজনীতি নয়, তার চিকিৎসার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
হাসপাতালে থেকেই তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি সৈয়দ আশরাফ। পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, শপথের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছেন নবনির্বাচিত এই সংসদ সদস্য।
তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই খবর পেয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরীও সঙ্গে সঙ্গে শোক জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার দলের হাল ধরেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হন তিনি।
২০১৭ সালে স্ত্রী শীলা আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে নিজেও অসুস্থ ছিলেন আশরাফ। একমাত্র মেয়ের সঙ্গে লন্ডনেই বেশি সময় কাটাতেন। মন্ত্রিসভার কাজেও অনিয়মিত ছিলেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদ থেকেও ৯০ দিনের জন্য তিনি ছুটি নিয়েছিলেন।
ব্যাংককের হাসপাতালে থেকেই করা ওই আবেদনে আশরাফ বলেছিলেন, তিনি ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটে’ ভর্তি রয়েছেন। তার চিকিৎসায় আরও অনেকদিন সময় লাগবে।
তার চার মাসের মধ্যে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই রাজনীতিক।