চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় হবে, এ নিয়ে আছে মতভিন্নতা। কেউ চাইছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসেই বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক। আর অনেকে ফৌজদারহাটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পক্ষে মত দেন। এ মতভিন্নতার মধ্যেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ক্যাম্পাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গত ১৫ জুলাই প্রকৌশলী-স্থপতিদের নিয়ে ক্যাম্পাসের স্টাফ কোয়ার্টার-সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। তিনিও সেখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলেছিলেন। তবে এখন ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ৭ অক্টোবর প্রকৌশলী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কয়েকজন নেতাসহ ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শন করেন।
জানতে চাইলে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আমি চমেক ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ফৌজদারহাট এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে এগোচ্ছি। জায়গাটি চমেকের চেয়ে ভালো মনে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন। প্রাথমিকভাবে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমরা একটি সার্ভে কমিটি করে দিচ্ছি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর অনানুষ্ঠানিক পত্র (ডিও লেটার) দেন। ওই চিঠিতে তিনি ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ক্যাম্পাসকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে উল্লেখ করেন।
জানতে চাইলে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ফৌজদারহাটে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য কেবল ডিও লেটার নয়, যুদ্ধ করেছি। চাঁদাবাজি আর ঠিকাদারি করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চেয়েছিল কয়েকজন।’ তিনি বলেন, ফৌজদারহাটের জায়গাটি খোলামেলা। ওখানে অনেক সম্প্রসারণের সুবিধা আছে। ফৌজদারহাট বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত।
সূত্র জানায়, ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ক্যাম্পাসে ১৬ একর খালি জমি আছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ১৪ একর জমি অধিগ্রহণ সম্ভব। এ ছাড়া একই ক্যাম্পাসে দুই একর জমির ওপর অবস্থিত চারতলার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল ভবন ১১ তলা পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
স্বাচিপ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসে, নাকি ফৌজদারহাটে বিশ্ববিদ্যালয় হবে—তা নিয়ে চট্টগ্রামে স্বাচিপের নেতাদের মধ্যে ভিন্নমত ছিল। চমেকের স্বাচিপ নেতারা চাইছিলেন বর্তমান ক্যাম্পাসেই বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও বিএমএর চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খানও চমেক ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় করার ইতিবাচক দিকগুলো গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছিলেন। স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম মিনহাজুর রহমান, বিএমএর চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন স্বাচিপ নেতা শুরু থেকেই ফৌজদারহাটে বিশ্ববিদ্যালয় করার বিষয়ে উদ্যোগী ছিলেন। বিএমএর চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি শেখ শফিউল আজমও ফৌজদারহাটে বিশ্ববিদ্যালয় করার পক্ষে মত দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ক্যাম্পাসকে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মুজিবুল হক খান।
নতুন স্থান নির্ধারণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘গণপূর্তমন্ত্রী ফৌজদারহাট পরিদর্শন করে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। আরও আলাপ-আলোচনা হবে। মন্ত্রণালয় শেষ পর্যন্ত স্থান চূড়ান্ত করবে।’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের চেয়ে ফৌজদারহাটের জায়গাটি খোলামেলা বলে মন্তব্য করেন মেয়র।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
Aha
hore vai taratari ho , 1 ta degree nei , BSMMU e Dental er jonno 4-5 ta seat er jono r atto pora suna vallage na