বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় এক গুমোট পরিবেশ বিদ্যমান। একদিকে মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসক সংকটের সুযোগে কোয়াক ওষুধের দোকানদার নির্ভর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা। অন্যদিকে প্রাইভেট ক্লিনিক, বাণিজ্যিক হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বার কেন্দ্রিক উচ্চমূল্যের বিশেষায়িত সেবা। এর মাঝে বাংলাদেশ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কম্যুনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব সেন্টার সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনগণকে স্বল্প মূল্যে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া। কোন ক্ষেত্রেই সাধারণ জনগণ সন্তুষ্ট নন। তাঁরা সরকারী হাসপাতালের প্রায় বিনামূল্যের সেবায় আশা করেন ফাইভ স্টার বেসরকারি হাসপাতালের মান ও আন্তরিকতা, উল্টো দিকে প্রাইভেট চেম্বারে অথবা ক্লিনিকে আশা করেন নূন্যতম মূল্যের সরকারি সেবা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সর্বোচ্চ সময় ও দক্ষতা।
চিকিৎসক রোগীর আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয় অনুপাতে (১:১০০০) পিছিয়ে বাংলাদেশে কাগজে কলমে চিকিৎসক সংকট(১:২০০০) কাটাতে ১০৪টি মেডিকেল কলেজ চালু রয়েছে যারা প্রতি বছর নতুন ৪৫৪৩ জন চিকিৎসক(২০১৫-৬) তৈরি করছে। চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করলেই যে দেশের প্রত্যন্ত অন্তত অঞ্চলের জনগণের দোরগোড়ায় রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব-নীতি নির্ধারক মহলের এ ধারণা ইতিমধ্যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ালেই গ্রামাঞ্চলে তরুণ চিকিৎসক না যাওয়ার বহু জনপ্রিয় বাস্তব কারণের বাইরে অন্যতম প্রধান দুটো কারণ হচ্ছে,
১ বিসিএস হেলথ ক্যাডারের মাধ্যমে স্বল্প সংখ্যক সরকারি চিকিৎসক নিয়োগঃ ৩৩ তম বিসিএস ব্যতীত অন্য সকল বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা মোট ঐ সময়ে পাশ করা চিকিৎসকের সংখ্যার অতি নগন্য। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক নিয়মেই একটি নির্দিষ্ট শতাংশ পদ শূন্য থাকার কথা(বর্তমানে ডিজিএইচএস,ডিজিএফপি মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পদ শূন্য)। পদায়নকৃত চিকিৎসকদের স্বাভাবিক চাকুরির দু’বছর পূর্তিতে উচ্চ শিক্ষার প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ট্রেনিং পোস্টে যাওয়া সহ নিরাপত্তা ও অন্যান্য আবশ্যিক সুযোগ সুবিধার অভাব, পারিবারিক কারণে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সব সময়েই সরকারি চিকিৎসকের সংকট থাকে। এছাড়া উপজেলা, জেলা পর্যায়ে বিদ্যমান চিকিৎসকের পদগুলো জনসঙ্খ্যা অনুপাতে না হওয়ায় (অর্থাৎ সকল উপজেলায় সমান সংখ্যক মেডিকেল অফিসারের পদ, বান্দরবনের লামা তে যা, সাভারের ধামরাইতেও তা) পদে থাকা চিকিৎসককেও রোগীর চাপ সামলাতে হয়।
২ বেসরকারি চিকিৎসকদের গ্রামে প্র্যাকটিস না করার প্রবণতাঃ এন্ট্রি লেভেলের চিকিৎসকদের জন্য পোস্টগ্র্যাজুয়েশন যেমন সম্মান জনক, ক্লিনিক ডিউটি যেমন লাভজনক, ঠিক তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে চেম্বার করা সুবিধাজনক বা সহজলভ্য ও নয়। একাডেমিক দিক থেকেও কারিকুলামের কোথাও জেনারেল প্র্যাক্টিসের ব্যবহারিক দিক(কম্যুনিটি ভিজিট আছে কিন্তু জিপি প্র্যাকটিস অনুপস্থিত), ইন্টার্নশিপ রোটেশনে কোথাও আউটডোর প্লেসমেন্ট না থাকায় নবীন চিকিৎসক হাসপাতাল চালানোর জন্য ডিগ্রিধারী আজ্ঞাবাহক হিসেবেই গড়ে উঠে স্বাধীন চেম্বার প্র্যাক্টিসের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে না।
ফলাফল দুটো,
১ সাধারণ মানুষ তাদের হাতের নাগালে এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসকদের পান না। কবিরাজ, হোমিও, কোয়াক, ওষুধের দোকানদার, অপচিকিৎসার শিকার হন। রোগ জটিলতর হলে তাঁরা হাসপাতালমূখী হন।
২ সকল উপজেলা, জেলা, মেডিকেল কলেজ, ক্লিনিক, বেসরকারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয়(সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ নিতে আসা, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের চেম্বারে সাধারণ সর্দি কাশির চিকিৎসা নিতে আসা রোগী) রোগীর চাপ বাড়ে। এতে রোগী প্রতি যেমন চিকিৎসকেরা সময় কম দিতে পারেন, রোগীর যথাযথ সেবা ও সন্তুষ্টি পাওয়া যায় না। চিকিৎসক রোগীর মাঝে সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠে না বরং সম্পর্ক দাতা-গ্রহীতার পর্যায়ে নামে।
হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতির উত্তরাধীকারী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ আশা করে এলোপ্যাথি চিকিৎসা এদেশে প্রভাব বিস্তারের পূর্বে কবিরাজ অথবা হেকিম যেমন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসত, খোঁজ খবর রেখে আত্মায় মিশে যেত, যতটা না ওষুধ দিত তার চেয়ে বেশি পথ্যের দিক জোর দিত ঠিক তেমন সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতা। গত শতাব্দীতেও উপন্যাস, সিনেমা, নাটকে খুব স্বাভাবিক দৃশ্য ডাক্তার বাবু সাইকেল চালিয়ে বা গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে পালকিতে করে ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই একই জাতি যখন অসুস্থ হয়ে জীবনের সবচেয়ে অসহায় মূহুর্তে সরকারি হাসপাতালে আউটডোর চিকিৎসকের দুপুর একটায় ওই দিনের ৮৯তম রোগী হয়ে একটা কিছু বুঝতে চেয়ে ঝাড়ি খায় তখন তাঁরা ক্ষুব্ধ, অপমানিত হয়। ক্লিনিকের দালালের ফাঁদে পরে সেই একই রোগী যখন কয়েকশ টাকা ভিজিট কয়েক হাজার টাকার টেস্টের বিনিময়ে প্রাইভেট চেম্বারে সুচিকিৎসা পায়, চিকিৎসক ততক্ষণে আর শ্রদ্ধার পাত্র নন ঘৃণিত। গ্রামাঞ্চলে এমন মানুষ ও আছে ফসল উঠার আগ পর্যন্ত ওষুধ ফার্মেসি থেকে বাকি নেয়, ফসল উঠার পর দেনা শোধ করে। সে সময় বাকি দেয়া সেই ওষুধের দোকানদার, বিনে পয়সায় বাড়ি গিয়ে নাড়ি ধরা কবিরাজ এ দেশের মানুষের কাছে আত্মার আত্মীয়, ভরসার যায়গা, সেখানে ক্রমাগত বকাঝকা করতে থাকা, হাজার টাকার টেস্ট দিতে থাকা শহরের কেতাদূরস্ত ডাক্তার কেবল অবিশ্বাসের পাত্র, কসাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গত দশ বিশ বছরে যত লক্ষ ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার(অনুমোদিত মাত্র ৪৫৯৬ ও ৯৭৪১টি) গজিয়ে উঠেছে এবং যাদের উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবসা তাদের কাছে সাধারণ রোগীরা জিম্মি। তাদের লোভ এবং লাভের কারণে যেহেতু চিকিৎসক পরীক্ষা লিখেন, দামি ওষুধ লিখেন চিকিৎসক জনগণের শত্রু হয়ে যান।
তাহলে,
কোয়াক প্র্যাক্টিসের সমাধান কি?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সাধারণ সর্দি জ্বরের চিকিৎসা দিয়ে নিজের বিদ্যার অপচয় করছেন, তাঁদের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করছেন এর সমাধান কি?
জনগণের সাথে সাধারণ চিকিৎসকের যে দূরত্ব ও অবিশ্বাস তার সমাধান কি?
পৃথিবীর সভ্য দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেই এ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে। উন্নত বিশ্বে জিপি রেফারেল সিস্টেম বলে একটা ব্যবস্থা আছে। যেখানে একটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক এলাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক অনুমোদিত চিকিৎসকের কাছে ঐ অঞ্চলের সকল ব্যক্তি পূর্ব থেকেই নিবন্ধিত থাকেন। কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে সর্বপ্রথম তাঁর জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কাছে বিস্তারিত ইতিহাস জানাতে, শারীরিক ও ল্যাব পরীক্ষার জন্য যান। সেই জেনারেল ফিজিশিয়ান উক্ত ব্যক্তিকে নির্ধারিত গণ্ডীর মাঝে চিকিৎসা দেন, যদি উচ্চতর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় সেই জেনারেল ফিজিশিয়ানই প্রযোজ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রেফার করেন। জেনারেল ফিজিশিয়ানের রেফারেন্স ব্যতীত কোন অবস্থাতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কোন রোগীর চিকিৎসা দেন না, নির্দিষ্ট রোগীর বেশি রোগীও দেখেন না এবং তাঁর ফী অতি উচ্চমূল্যের হয়ে থাকে। যে কোন ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে কিছু নির্দিষ্ট হাসপাতালে উচ্চ ফি/ইন্সুরেন্সের বিনিময়ে প্রাপ্যতা অনুযায়ী(কোন টা ইমার্জেন্সি কোন টা নয় এবং কোনটা কত সময়ের মাঝে চিকিৎসা পাবে নির্ধারিত) চিকিৎসা দেয়া হয় ইমার্জেন্সি বিভাগে।
বাংলাদেশে কি ভাবে সম্ভব?
জিপি রেফারেল সিস্টেমের মত দূরদর্শী পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশ সরকার কম্যুনিটি ক্লিনিক ধারণা প্রচলন করেছিলেন। কিছু নতুন উদ্যোগ এ ধারণা বাস্তবায়ন করতে পারে।
১ মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং নবীন চিকিৎসকদের মাঝে ফ্যামিলি মেডিসিন/ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান/জেনারেল প্র্যাক্টিশনার ধারণা জনপ্রিয় করা।
২ একাডেমিক কারিকুলাম এবং ইন্টার্নশিপ লগবুকে আউটডোর ম্যানেজমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করার পূর্ব পর্যন্ত স্বল্প মেয়াদী ফ্যামিলি মেডিসিন ডিগ্রি/ডিপ্লোমা/ফেলোশিপ অর্জন জনপ্রিয় করা(বাংলাদেশে ইউজিসি অনুমোদিত এফএমডি(ডিপ্লোমা ইন ফ্যামিলি মেডিসিন), এফসিজিপি(ফেলো অফ কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্স)। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী এফসিপিএস(ফ্যামিলি মেডিসিন) ও রয়্যাল কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্স এর এমআরসিজিপি ডিগ্রি আছে।
৩ বাজারমূল্যের হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উচ্চ ফী নির্ধারণ এবং তাঁরা কেবল রেফার্ড হয়ে আসা রোগি দেখবেন এটি প্রতিষ্ঠিত করা গেলে বাংলাদেশে জেনারেল প্র্যাক্টিশনার/ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এটি অঞ্চল ভিত্তিক হলে ঢাকা কেন্দ্রীক/প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে।
৪ যে সিস্টেমে সকলেই হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নয় একাডেমিক প্রফেসর হতে চায় সে সিস্টেমে অগুনিত ব্যর্থ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ব্যর্থ একাডেমিশিয়ান জন্ম দেবে(ইতিমধ্যে দিয়েছে)। তাঁরা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ডিউটি ডক্টর হতেও অস্বস্তিবোধ করবে। নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই জেনারেল ফিজিশিয়ান ধারণাকে প্রচলন, সম্মানজন, লাভজনক করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থায় বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস কর্তৃক পরিচালিত এক বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ফ্যামিলি মেডিসিন, প্রস্তাবিত ৩/৫ বছর মেয়াদি এমডি(ফ্যামিলি মেডিসিন), বাংলাদেশ কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্স এর ফেলোশিপ(এফসিজিপি) এবং এমআরসিজিপি অর্জনে আরো অধিক সংখ্যক বাংলাদেশী চিকিৎসক অংশ নিতে পারে সচেষ্ট হতে হবে।
প্ল্যাটফর্মে ইতিপূর্বে এফসিজিপি নিয়ে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লিংকঃ https://www.platform-med.org/family-medicinecareer-some-reality/
আগামী ৩-৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানসের ২১ তম ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং এমআরসিজিপি ইন্টার্ন্যাশনাল সাউথ এশিয়া বোর্ডের অরিয়েন্টেশন কোর্স অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান দুটির ব্রোশিয়ার যুক্ত করা হলো এবং ভবিষ্যতে একাডেমির কার্যক্রম, কনফারেন্স, নিয়মিত সিএমই আয়োজন, জার্নাল পাবলিকেশন ও রিসার্চ নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশে ফ্যামিলি মেডিসিন এর ডিপ্লোমা বা ফেলোশিপ বিএমডিসি স্বীকৃত নয়, তবে বাংলাদেশি একাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস ওয়ার্ল্ড এ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস (ওনকা) এর সদস্য এবং এর সার্ক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এখন বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এ ক্রান্তিকালে আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ সকল সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল সহ স্বনামধন্য সকল বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংসের নীল নকশা বাস্তবায়ন করা গেলেও আমরা যদি মাঠ পর্যায়ে সত্যিকার অর্থে মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যেতে পারি হাজার কোটি টাকা দালালীর ভাগ দিলেও বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসকদের উপর থেকে আস্থা হারাবেনা। সিদ্ধান্ত নেবার ভার আপনার, সাধারণ চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষের।
Academy-e-Brochure-21st-National-Conference-3rd-Feb-2017
ডাঃ মোহিব নীরব
উন্নয়নকর্মী।
দয়া করে এটা কোন কিছুর বিজ্ঞাপন ভাববেন না, সিস্টেম কে এভাবে দেখা যায় কি না সে আলোচনার লক্ষে এ লেখা। সকলের মতামত কামনা করছি।
Vi …Uk তে একজন specialist নীজে নীজের X ray Advise করেও কোথাও করা তে পারে না ,,যতক্ষন না তার GP তাকে specialist এর কাছে রেফার করে ৷
অনেক সুন্দর একটি প্রস্তাব ভাই।
Government er uchit bastobayon kora. Otherwise shamne khub kharap din .
সরকার রেফারেল সিস্টেমের ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানিয়েছে, যদিও বাস্তবে সেটা খুব একটা কার্যকর করা যাচ্ছে না।
সরকারী সেক্টরে সরকার একটু চাইলেই যথাযথ রেফারেল সিস্টেম কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারে।
কিন্তু সবকিছু সরকারের কাধে চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে “রেফারেল সিস্টেম” ডেভেলপ করা খুব কঠিন হবে।
একটা ক্ষুদ্র আইডিয়া দিতে পারি। ঢাকায় বা যে কোন বড় হাসপাতালের সাথে একটা লিয়াজো কি করা যায়?
যেমন, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা পর্যায়ে জিপি আউটলেট খুলবে। এই আউটলেটগুলোতে ট্রেনিং প্রাপ্ত নবীন ডাক্তারেরা জিপি করবে। মূল প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের রিক্রুট করা হবে। তারা রোগী প্রতি ফিস এর একটা শেয়ার পাবে। এভাবে ট্রাই করলে অনেকেই কিন্তু এই আউটলেট গুলো থেকে ভাল সার্ভিস পাবে। সবাই প্রটোকল ফলো করবে ট্রিটমেন্ট ও রেফারেলের ব্যাপারে।
I can arrange this can you write your proposal
Mushfika Huq Misha
খুবই কার্যকরী একটি উদ্যোগ।অামি নিজে গ্রামে অন্তত কয়েক বছর জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করতে চাই।ক্লিনিক্যালি নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য হলেও কয়েক বছর জিপি হিসেবে প্র্যাকটিস করা উচিৎ।এতে যেমন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা ডাক্তারের সংখ্যা বাড়বে,তেমনি নব্য পাশ করা ডাক্তারদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যেসব ক্লিনিক মালিক ডাক্তারদের প্রতিনিয়ত শোষণ করে যাচ্ছে তাদের মুখে ঝামা ঘষে দেয়া যাবে।কিছুদিন জিপি হিসেবে প্র্যাকটিস করলে পরবর্তীতে স্পেশালিষ্ট হলেও সমস্যা নেই,এতে জ্ঞান বাড়বে বৈ কমবে না।তবে অারেকটি উদ্যোগ নিলেই জেনারেল ফিজিশিয়ান ডিগ্রীগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে,সেটা হলো বিএমডিসি রিকগনিশন। এক্ষেত্রে বিএমএ নেতাদের অাদৌ কোনো পরিকল্পনা অাছে কি?
সিনিয়রদের মন্তব্য কামনা করছি
Hats off for such an initiative!!