৯ এপ্রিল, ২০২০। বৃহস্পতিবার
করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত ফ্রান্স। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। দিন দিন অবস্থা আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে।
ক্রমাগত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইউরোপের এ দেশটিতে মারা গেছে ১ হাজার ৪১৭ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে দেশটিতে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৮ জন।
কারোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় ফ্রান্স এখন চার নম্বরে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৯ হাজার ৩৩৭ জন।
এ ছাড়া ফ্রান্সে বর্তমানে ৭৯ হাজার ৪০৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭২ হাজার ৩৭৩ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। বাকি ৭ হাজার ১৩১ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ আটকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন করে মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল ফরাসি সরকার। কিন্তু এ লকডাউনেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলিভার ভেরান বলেছেন, আমরা করোনাভাইরাস মহামারীর শেষ প্রান্তে পৌঁছাইনি। আমরা এখনও এই মহামারীর চূড়ার কাছাকাছি আছি। যে পথ অনেক দীর্ঘ ও দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তিন মাস ছাড়িয়েছে। এখনও নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ খুব একটা দৃশ্যমান নয়। করোনায় বিপর্যস্ত সারাবিশ্ব। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ৭ হাজার ৩৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ যাবৎ বিশ্বজুড়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ২৫ জন।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৫৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৯০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৯৪০ জন।
সব মিলিয়ে বর্তমানে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৫ জন আক্রান্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৫ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৪৭ হাজার ৮৯০ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়