প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১১ই মে ২০২০, সোমবার
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতের কাশ্মীরের ১৬৭ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী দেশে ফিরেছেন। ৮ই মে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ নামে বৃহত্তম প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। এই ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরি, পড়াশোনা বা ইন্টার্নশিপ করেন। এছাড়া পর্যটন, ব্যবসা-সহ বিভিন্ন কারণে লকডাউনের আগে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। এছাড়াও রয়েছেন অন্যান্য ভারতীয় নাগরিক, যাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে ভারত সফর অনিবার্য ছিল।
হাইকমিশন এ সময় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এ কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ উদারতার সঙ্গে পাশে থাকা মেডিকেল কলেজসমূহের অধ্যক্ষদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় খাদ্য, বাসস্থান, অর্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করেছে।
হাই কমিশন জানায়, বাংলাদেশে ভারতীয়দের শুক্রবার থেকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি ফ্লাইট ভারতীয় নাগরিকদের শ্রীনগর (৮, ১২ও ১৩ মে), দিল্লী (৯ ও ১১ মে), মুম্বাই (১০ মে) এবং চেন্নাই (১৪ মে) নিয়ে যাবে। প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ১৭০ জন যাত্রী বহন করা হবে। প্রথম ফ্লাইটে ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রীনগরে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় হাই কমিশন জানায়, হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ শুক্রবার বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া প্রথম দলটিকে বিদায় জানান এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে হাই কমিশনার বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের কল্যাণে ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তরুণ শিক্ষার্থীরা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারায় হাই কমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ভারতে পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।
কাশ্মীরের শ্রীনগরের জেলা প্রশাসক শহীদ ইকবাল চৌধুরী ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বাংলাদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরাতে “অসাধারণ প্রচেষ্টা” এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানায়।
শিক্ষার্থীদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং এরপর কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে তাদের ১৪ দিনের জন্য প্রশাসনিক কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ করা হবে।
প্রতিবেদক/ রুহানা অরণি