প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, শনিবার
চিকিৎসক সংকটের কারণে শেবাচিম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
উদ্বোধন এর সময় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ইউনিটের পথচলা শুরু হয়। রোগীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে পরবর্তীতে ৩২ শয্যায় উন্নীত করা হয়। যদিও তখন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে অল্প সংখ্যক চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছিল।
শুরু থেকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা.হাবিবুর রহমান। তিনি অবসরে চলে যাওয়ার পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এম এ আজাদ সজল। গত ২৬ এপ্রিল সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ আজাদ সজলের মৃত্যুতে বিভাগটি চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়ে।
মে মাসের শেষ পর্যন্ত অন্য ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের সহায়তায় রোগীদের সেবা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান ছিল। কিন্তু বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ছাড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠলে জুন মাসের শুরুর দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভাগটিতে রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে, বার্নের রোগীদের সার্জারী ওয়ার্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের সহায়তায়ই পুড়ে যাওয়া রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতরদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে প্রেরণ করা হচ্ছে।
বরিশাল বিভাগের আর কোথাও বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ নেই। শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ চালু না থাকায় অগ্নিদগ্ধ রোগীরা মারাত্মক দুর্ভোগে আছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের দাবী রোগী ও স্বজনদের।
আইসিইউ সহ হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসক সংকট থাকায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে প্রায় অর্ধেকের মতো চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। প্রফেসরসহ মেডিকেল অফিসার – যারা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারীর ওপরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত তাদের নিয়োগের মাধ্যমে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ যেন আবার চালু করা হয় এই দাবী পুরো বরিশালবাসীর।