বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে এ্ই প্রথম এক রোগীর দেহে সফলভাবে ডুয়েল চেম্বার পেসমেকার স্থাপন করলেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) প্রথম বারের মতো মাত্র দুই হাজার টাকায় ডুয়েল চেম্বার পেসমেকার স্থাপন করার সুযোগ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে পেসমেকারটি রোগীর পক্ষ থেকে কিনে দেওয়া হয়।
পুরো অপারেশনটি করেছেন সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন, ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম সালেহ উদ্দীন। তার সঙ্গে সহায়তা করেন ডা. মাহফুজুর রহমান ও ডা. এমডি সাইদুর রহমান, সিনিয়র স্টাফ নার্স শামিমা ইয়াসমিন, টেকনোলজিস্ট গোলাম মোস্তফা ও নজরুল আহম্মেদ।
হাসাপাতল সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নগরের বগুড়া রোডস্থ এলাকার বাসিন্দা ও বরিশাল জেলা জজ আদালতের উচ্চমান সহকারী জাফর উল্লাহ বেশ কিছুদিন আগে পা পিছলে পড়ে আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় তিনি আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে তার হৃদস্পন্দন ছিলো খুবই কম।
এ অবস্থায় গত এক সপ্তাহ আগে রোগীর হার্টে অস্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। কিন্তু তাতে তেমন উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে জাফর উল্লাহর হৃৎপিণ্ডে ডুয়েল চেম্বার পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হয়।
বেলা পৌনে ১১টা সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে শয্যায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স শামিমা ইয়াসমিন।
ডা. এম সালেহ উদ্দীন জানান, ছন্দময় জীবনের জন্য প্রয়োজন স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক স্পন্দনের গতি প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ৯০ বার। হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগের কারণে এই স্বাভাবিক স্পন্দন ব্যাহত হয়। যার ফলে দেখা যায় নানাবিধ সমস্যা ও ছন্দপতন ঘটে জীবনযাত্রার।
তিনি বলেন, রোগী জাফর উল্লাহর হৃৎপিণ্ডে ডুয়েল চেম্বার পালস জেনারেটরের (পেসমেকার) সঙ্গে দু’টি লিড লাগানো হয়, একটি ডান অ্যাট্রিয়ামের সঙ্গে ও অন্যটি ডান ভেন্ট্রিকেলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সোর্সঃবরিশালবানি.কম