শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামোর উন্নয়নে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস)-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্রিস্টিন ড্যামকজার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীর ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজিজেস অফ দ্য চেস্ট অ্যান্ড হাসপাতাল’ (এনআইডিসিএইচ) পরিদর্শনকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
পরিদর্শনকালে ক্রিস্টিন ড্যামকজার বলেন, ‘ইউএনওপিএস বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোকে সহজলভ্য ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা গর্বিত যে, আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করে বাংলাদেশকে তার স্বাস্থ্যসেবা লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন দিতে পারছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদ বলেন, ‘এই উদ্যোগটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনবে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা সিলিন্ডার-ভিত্তিক অক্সিজেনের উপর নির্ভর করে আসছি, যা প্রায়ই ব্যয়বহুল এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই পিএসএ (প্রেশার সুইং অ্যাডসর্পশন) প্ল্যান্টগুলোর মাধ্যমে ২৯টি সরকারী হাসপাতাল এখন নিজেদের অক্সিজেন সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। যার ফলে বাহ্যিক সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা কমেছে এবং গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় নিশ্চয়তা তৈরি করেছে।’
জাতীয় বক্ষ ব্যাধি হাসপাতাল বাংলাদেশের ২৯টি হাসপাতালের মধ্যে একটি, যেখানে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অন্যান্য অংশীদারদের সহযোগিতায় ইউএনওপিএস গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে ন্যাশনাল ম্যালেরিয়া এলিমিনেশন প্রোগ্রাম (এনএমইপি) এবং পিএসএ (প্রেশার সুইং অ্যাডসর্পশন) প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের কোভিড-১৯ জরুরি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এনআইডিসিএইচসহ এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারা বাংলাদেশে কৌশলগতভাবে পার্টনার হাসপাতালগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। যাতে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মানুষের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবায় নিশ্চিত করা যায়। অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায়, ইউএনওপিএস অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সরবরাহ সংগ্রহে সহায়তা করেছে। অক্সিজেন থেরাপি ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নত করেছে।
প্ল্যাটফর্ম/