প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২০, বৃহস্পতিবার
ডা. মৃণাল সাহা
কোভিড রি-ইনফেকশান
মিথ অর রিয়েলিটি
ভালো ভাবে পড়েবেন
বিজ্ঞজনদের অভিমত আশা করি
প্রথমবার যখন আমার কোভিড হয় কোন পোস্ট দেই নাই। ইচ্ছে করে নাই সবাইকে জানাই, নীরবে আইসোলেট থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। এক প্রিয় বন্ধু বলেছিলো মনে সাহস রাখ, কোন নেগেটিভ কথা ফেইসবুকে লিখিস না, অনেকেই তোর পজেটিভ কথায় মোটিভেট হয়। ওর কথা শুনে ভালো লেগেছিলো, কনফিডেন্স বেড়েছিলো, আমার তখন উল্টা ওকেই আমার মোটিভেটর মনে হয়েছিলো। তাই এনিয়ে ডিটেইলস কিছু বলি নি। কিন্তু যে অদ্ভুত বিষয়টা আজ আমার সাথে ঘটল সেটা না জানিয়ে পারছি না। এটা জানানোর মূল উদ্দেশ্য একাডেমিক পারপাস। অন্যকোন মোটিভ নাই, জাস্ট একাডেমিক ডিসকাশান, আর বোঝার সুবিধার্থে বাংলায় দিলাম।
০৭/০৭/২০২০ ডিউটি করার পর থেকে একটু একটু বুকে চাপ লাগা আর দুর্বলতা। সেই সাথে পালপিটিশান। অল্পতে হাঁপিয়ে উঠতাম। ১০ তারিখ আমার কাশি আর বমির ভাব হয়। পাত্তা দেইনি। এরপর ১৫ তারিখ ডিউটি করলাম। ১৬ তারিখ নাইট ডিউটিতে এক্সরে আর ইসিজি করলাম ডিউটির ভেতরই। হার্ট রেইট ১১৭। কি অদ্ভুত! মাঝে মাঝে ১৩০/মিনিট হয়ে যায়। অনেকেই বলছিলো আমি প্যানিকড। যথারীতি ব্লাড টেস্ট করালাম। সব নরমাল। তবুও কেমন কেমন লাগে। বুকে একটু শর্টনেস অব ব্রেদ৷
এর মাঝে খাবার রুচি নাই। ১৮ /০৭/২০ বেশ খারাপ লাগে উইথ নসিয়া এন্ড রেস্টলেসনেস এন্ড পালপিটেশান। এই কয়দিনে ওজন কমেছে ৪ কেজি। ১৯/০৭/২০২০ তারিখে প্রথম স্যাম্পল দিলাম- রিপোর্ট পজেটিভ। এতদিনের এত নিয়ম মেনে চলা, এত মাস্ক, এত স্যানিটাইজারকে বৃথা প্রমান করে আমি করোনা আক্রান্ত হলাম। দুইদিন ভালোই ছিলাম। স্যাচুরেশান ৯৭-৯৮ কিন্তু হার্ট রেইট ১২০-১৩০। প্রায়ই বুকে ব্যথা করতো। চেষ্ট এক্সরে দেখে সন্দেহ হলো। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এইচআরসিটি অফ চেস্ট করাবো।
২৩/০৭/২০ এ সেখানে আসলো বাইল্যাটারাল নিউমোনাইটিস ইনভলভিং অল জোনস্ অফ বোথ লাংস্। তবে একটাই স্বাস্তি তা হলো গ্রাউন্ড গ্লাস ওপাসিটি ছিলো মাইল্ড এন্ড স্ক্যাটার্ড (স্ট্যাবল)। বুকে চাপ লাগার দরুন আর পালস বেশী থাকায় ভেবেছিলাম যদি মায়োকার্ডাইটিজ হয়? একটা ইসিজিতে একটু এস-টি চেন্জ আসলো, টি ইনভারশন ছিলো দেখে সিনিয়রদের সাথে আলাপ করলাম। কেউ কেউ বললো, মডারেট কোভিড-এর চিকিৎসা শুরু করতে। এইটা আসলে মাইল্ড নাকি মডারেট সেটা নিয়েই কনফিউশান ছিলো আমার। যেহেতু সিট ক্রাইসিস, জরুরী ভাবে বিপদে পড়লে সিট পাবো না তাই দেরি না করে ভর্তি হয়ে গেলাম শামছুদ্দিন হাসপাতালের কেবিনে। সেখানে মডারেট কোভিডের স্টেরয়েড ইনজেকশান পাবার পর নতুন করে ব্লাড সুগার বাড়লো, বুঝলাম হাইপারগ্লাইসেমিয়া ডিউ টু স্ট্রেস। সব মিলিয়ে ভালোই ফিল করছিলাম। সবাই শুধু একটা কথাই বলতো, নো টেনশান, নো টেনশান, ইউ আর প্যানিকড, ডোন্ট প্যানিক। এই কথাগুলো শুনতে শুনতে আমার কান পঁচে গেছে। সিডেটিভ খেয়েও পালপিটিশান কমে না অথচ সবাই অবলীলায় বলে দেয় আমি প্যানিকড। আমার রেডিওলজিস্ট বান্ধবী আর মেডিসিন স্পেশালিস্ট বন্ধু আমাকে যে হেল্প করেছিলো তা বলার মত না। ডিলটিয়াজেম খেয়েই হার্ট রেইট কমলো। আমার এক জুনিয়র ছোট ভাই তো নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে আমার সাথেই এক কেবিনে দিন রাত থাকতো, এইটা সিম্পলি অসম্ভব। যেহেতু একাডেমিক আলোচনা তাই সংগত কারণেই ওদের নাম দিলাম না।
৩০/০৭/২০২০ তারিখে আমি সেকেন্ড স্যাম্পল দিলাম। আমার নেগেটিভ আসলো। বাসায় চলে এলাম। দুই বার ওয়াইফের টেস্ট করালাম দুইবারই নেগেটিভ। আমি ছাড়া কেউই ইনফেকটেড না। ইভেন আমার সাথে থাকা সেই জুনিয়রও ইনফেকটেড না। সে আমার থালা বাসন বিছানা গুছানো সবই করেছিলো। কখনো মাস্ক ও থাকতো না। আরো মজার ব্যাপার হলো এই ছেলে ওর মায়ের করোনা নিয়ে যখন হাসপাতালের আইসোলেশানে ছিলো তখনও ইনফেকটেড হয় নাই। বরং ওর ভাই পজেটিভ হয়েছে। কথা গুলো একাডেমিক পারপাসেই বললাম। ডায়াবেটিস আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলো। আমিও ভালোর দিকে। একটা শান্তি নিয়েই আমার দিন কাটছিলো। এরপর চেম্বার শুরু করলাম। চট্টগ্রাম গেলাম। সব ভালোই চলছিলো।
আমার ওয়াইফের পোস্টিং হলো ইএনটি আউটডোরে মেডিকেল অফিসার হিসেবে। আমি তখন চট্টগ্রাম। সে সবে চারদিন ডিউটি করেছে। এরমধ্যেই তার জ্বর আসলো, কাশি, রানিং নোজ। রানিং নোজ দেখে ভাবলাম এলার্জী। কারন আমার মত ওরও ব্রোঙ্কিয়াল অ্যাজমা আছে। ২৪ তারিখ রাতে রওনা দিয়ে আমি সিলেট আসলাম ২৫/০৮/২০ সকাল বেলা। তখনও ভাবছিলাম এইটা সিজনাল ফ্লু।
২৮/০৮/২০২০ তারিখে হঠাৎ শুনলাম, আমার ওয়াইফ নাকে গন্ধ পাচ্ছে না। আমি এলার্ট হয়ে গেলাম। আমার যেহেতু একবার হয়ে গেছে আমি নিজেকে নিয়ে মোটেও ভীত ছিলাম না। ওর এনোসমিয়া দেখে সন্দেহ হলো। ওকে ২৯/০৮/২০ টেস্ট করালাম আর ৩০/০৮/২০ ওর পজেটিভ রিপোর্ট আসলো। এর মাঝে দুইদিন আমার দেড় বছরের মেয়েটার হালকা জ্বর আর রানি নোজ উইথ স্নিজিং ছিলো সাথে একটু কাশি। সেটা সেরে যায় দুদিন পর।
২৯/০৮/২০ আমার ইমার্জেন্সীতে ইভিনিং ডিউটি ছিলো। বলে রাখা ভালো যে, আমাদের এখানে ইমার্জেন্সীতেই সব পেশেন্ট আসে আলাদা ট্রায়াজ সিস্টেম এখানে নেই। ডিউটির মাঝ পথেই আমার শুরু হলো প্রচন্ড হাঁচি আর রানিং নোজ। নাকের পানি পড়ছে তো পড়ছেই, মাস্ক এর কারনে নাকের পানি ঢুকে যাচ্ছে মুখে, কিসের হাইজিন কিসের কি। দ্রুত মাস্ক চেইঞ্জ করলাম। কি লাভ? কয়টা বদলাবো? আমার হাঁচির দমকে তো মাস্কই উড়ে যায়। কপাল ভালো আমার সহকর্মী ইন্টার্ণটা অনেক ভালো ছিলো বলে আমি বারবার মাস্ক বদলানোর সুযোগ পেয়েছি।
৩০/০৮/২০ সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেখি গায়ে জ্বর প্রায় ১০০° ফারেনহাইট সাথে প্রচন্ড গায়ে ব্যথা। এরপর থেকে শুরু হলো কাশি, নাকের পানি পড়া তখন আর নেই। অন্যদিকে হার্ট রেইট বেড়েই চলেছে, একটু কাজ করলে, বাথরুমে গেলেই বেড়ে যায়। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। তখনো ভাবছিলাম এইটা সিম্পল ফ্লু। একবার কোভিড হয়ে একমাসের ভেতর আবার হবে, এটাতো রীতিমত মীথ। আমার সব আশা গুড়ে বালি করে দিলো ৩১ তারিখ বিকেলটা। হঠাৎ বুঝলাম আমি গন্ধ পাচ্ছি না। বডি স্প্রে, সাবান, পাউডার যা পাচ্ছি ট্রাই করছি, নো স্মেল। লজ্জায় কাউকে কিছু বলি না, বললে বলবে আমি প্যানিক করি। ভাই এনোসমিয়া কি প্যানিক করে বানানো যায়? এদিকে সারারাত গায়ে ব্যথায় কাতরালাম। সাথে বুকে ব্যথা উইথ অকেশানাল পেইন ইন দ্যা চেষ্ট।
কাউকে কিছু না বলে আজ ০১/০৯/২০ স্যাম্পল দিলাম। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম পজেটিভ আসবে। আমার উদ্দ্যেশ্য ছিলো এটা প্রমান করা যে কোভিড এর রিকারেন্স হয় এবং সেটা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই হতে পারে।প্রথম বার আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হবার প্রায় একমাস পর আবারও আমি করোনায় আক্রান্ত হলাম। এখানে এইটা ভাবার সু্যোগ নাই যে, আগের পজেটিভটাই রয়ে গেছে সেটা আর নেগেটিভ হয় নাই। আমি কিন্তু ক্লিনিক্যালি ইম্প্রুভড ছিলাম। নেগেটিভ রিপোর্টের পর নো সাইন সিম্পটম মাঝে মাঝে হার্ট রেইট বাড়তো। মেডিসিন স্পেশালিস্ট বন্ধু বললো এটা পোস্ট কোভিড সময় লাগবে, ধৈর্য্য ধর। এরপর ওয়াইফের পজেটিভ৷ তারপর আমার আবার সাইন সিম্পটম আসলো টেস্ট করে পজেটিভ পেলাম। সময়ের ব্যবধান এক মাসের চেয়ে একটু বেশী।
যে কথা বলতে চাইঃ
১) কোভিডে রি ইফেকশান যেকোন সময় হতে পারে। এন্টিবডি চেক না করে আসলেই কিছু বলার উপায় নাই। আর এই কারনেই হয়তো সবার প্লাজমা সমান কার্যকরী না।
২) রানিং নোস মানে নাক দিয়ে পানি পড়লেও করোনা সন্দেহ করতে হবে যদি সেটা স্বল্প মেয়াদী হয়, সাথে জ্বর। তবে নাকে গন্ধ না পাওয়াটা এই ক্ষেত্রে একটা হলমার্ক সাইন। নাক দিয়ে পানি পড়ার শর্ট হিস্ট্রি যাদের আছে তাদের নিউ অনসেট আনোসমিয়া হলে কোভিড সন্দেহ করাই যায়।
৩) টাকিকার্ডিয়া ইজ এলার্মিং এন্ড কমন সাইন অব কোভিড। অনলী টাকিকার্ডিয়া কুড বী দ্যা প্রেজেন্টিং কমপ্লেইন অব আ কোভিড পেশেন্ট উইথ চেস্ট পেইন/ টাইটনেস এন্ড আন ডিউ ফ্যাটিগ। কেউ কেউ পালপিটিশান নিয়েও প্রেজেন্ট করবে। কোভিড পেশেন্ট প্যানিক হবেই, মিডিয়া এটাকে এমনই বানাইসে। আর প্যানিকটাও এই ডিজিজ এরই পার্ট। সিডেটিভ দিয়েও লাভ না হলে টাকিকার্ডিয়া কিন্তু এলার্মিং। প্যানিক বলে উড়াই দেয়া চরম বোকামী।
৪) একবার হলেই আপনি বেঁচে গেলাম এমনটা আমিও ভাবতাম। আজ প্রমান হলো, এটা আবারও সম্ভব। গত ১০ বছর আমার জ্বর হয় নি। এইবারই বুঝলাম গায়ে ব্যথা আর জ্বর কাকে বলে। এটাও সত্য যে রি ইনফেকশান এর রেইট কিন্তু তুলনামূলক কম। আমি যদি মনে করি আমার প্রথম বার কোভিড হয়নি তাহলে আমি টাকিকার্ডিয়া, চেস্ট টাইটনেস আর সিটি চেস্ট এর এক্সপ্লানেশান পাই না। সে সময় আমার এনোরেক্সিয়া আর ওয়েট লস এন্ড ফ্যাটিগ ছিলো। সেটাও মিলাতে পারি না। আর যদি ধরি ৩০/০৭ তারিখের রিপোর্টে আমার ফলস নেগেটিভ আসছে মানে আসলে আমি তখনো নেগেটিভ হইনি তাহলে গত একমাস আমি ক্লিনিক্যালি ভালো ছিলাম অলমোস্ট। ধরে নিলাম এবার এর পজেটিভ রিপোর্টটা আগের ডিজিজের রিফ্লেশান। তাহলে আমার তো সাইন সিম্পটম থাকার কথা ছিলো না। আমার ওয়াইফ এর হবার পর পরই কিভাবে আমার রানি নোজ, কাফ, এনোসমিয়া, ফিভার এন্ড বডি এক হলো? এটা যদি আগের সিক্যুয়েল হতো আমারতো কোন ভাবেই নতুন করে সিম্পটম আসতো না। তাই না? আসলে ব্যাখ্যা পাই না বলেই লিখলাম।
৫) নাকে গন্ধ না পাওয়া রোগীদের খাবারে অরুচি থাকে তবে সেটা সামান্য। এটা কোভিড এর রোগীদের দেখা যায়। সিভিয়ার এনোরেক্সিয়াও কমন যদি কো মরবিডিটি থাকে।
৬) আমার কেইস আদ্যোপান্ত পড়ে বুঝার চেস্টা করেন। এখানে এইটা বলার সুযোগ নাই যে প্রথম পজেটিভ টাই নেগেটিভ হইতে দেরি হইসে। সেক্ষেত্রে ৩০/৭ এর রিপোর্ট ভুল। অথবা প্রথমবার আমার করোনাই হয় নাই, কিন্তু সিটি স্ক্যান আর টাকিকার্ডিয়া ইভেন এক্সরে তো সেইটা বলে না। আবার এইবার যে পজেটিভ আসলো সেখানে সাইন সিম্পটম আগের চেয়ে আলাদা। মাঝেখানে সুস্থতা ছিলো। যদি আগের কেইসই হবে তবে সাইন সিম্পটম আসলো কেন? আর আমার নিজের ঘরেই কোভিডের এক্সপোজার। সো, বুঝে শুনেই বলসি রি ইনফেকশান।
৭) আমার কাছে এসিমপটোম্যাটিক ক্যারিয়ার জিনিসটা অবাক লাগে। মাঝে মাঝে বিশ্বাস হয় না। কোভিড হলে কিছু না কিছু বডিতে চেইঞ্জ থাকবেই। আর আমার মনে হয় অনেক গুলো স্ট্রেইন আছে করোনার। এবং সব স্ট্রেইন কোভিড ছড়ায় না। এমন অনেক মানুষ আছে যাদের কোভিড হয়েছে অথচ পরিবার বা কাছের লোকজন কেউই ইনফেকটেড না। আবার এমনও আছে ফুল ফ্যামিলি ইনফেকটেড।
৮) জেনেটিক্যাল কোন একটা কারনে হয়তো কিছু মানুষের ন্যাচারালিই করোনা হয় না। এইটা আমি দেখেছি বেশ কয়েকজনের মাঝে। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, আয়া, সুইপার, জুনিয়র ছোট ভাই, অনেকের সাথে কথা বলেই এটা বললাম, যাদের প্রোটেকশান লেভেল নূন্যতম কিন্তু রোগীর সাথে কনটাক্ট ডাক্তার থেকেও বেশী।
৯) কোভিড বেশী ছড়ায় হাঁচি, কাশি, আর মুখোমুখি মাস্ক ছাড়া কথা বলার সময়। এয়ার বর্নে আমি বিশ্বাস করি না। যদি তাই হতো বাংলাদেশের হাসপাতালে রোগী জায়গা দেয়া যেতো না। কোভিড রোগীর সমস্যা গুলো রাতেই বাড়ে, যা দেখেছি এ পর্যন্ত।
১০) কোভিড নিয়ে অনেক গবেষণা হবে এবং হচ্ছে। কিন্তু ডাইরেক্ট অবজারভেশনাল স্টাডি ছাড়া কিছুই বলা যায় না। সেটা খুব কমই হচ্ছে বলে আমার ধারণা। বিশ্ব ব্যাপী ভ্যাক্সিন নিয়ে যত আলাপই চলুক আমি ভ্যাক্সিন এর ব্যাপারে খুব বেশী আশাবাদী হতে পারছি না।
সব আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অবজারভেশান, নেভার টেইক ইট এজ রেফারেন্স
উল্লেখ্য, সুনির্দিষ্ট গবেষণায় বিশ্বে রি-ইনফেকশনের প্রমাণ পাওয়া যায় নি এই কিছুদিন আগেও। তারপর হংকং এর ঘটনায় রি- ইনফেকশন প্রমাণিত হয়। সারা বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানী ও স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ব্যক্তিবর্গ নড়েচড়ে বসেন। প্ল্যাটফর্মেও তা প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশে করোনা রি – ইনফেকশন এর ব্যাপারে কেউ কেউ ধারণা করলেও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ব্যাখ্যা করে প্রকাশ করা এই প্রথম। কেইস রিপোর্ট বা আনুষাঙ্গিক নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা ও দাবি প্রতিষ্ঠা করা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু জনসচেতনতার প্রয়োজনে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের ব্যাপারে অধিকতর মনযোগ আকর্ষণের প্রয়োজনে দুইজন কোভিড চিকিৎসকের পরিবারের কথা প্রকাশিত হলো। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদ্বয়ের প্রতি ধন্যবাদ যে এই দুঃসময়েও তাঁরা দায়িত্ব মনে করে জনসচেতনতার জন্য নিজেদের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয়তো অধিকতর মনযোগী হবেন।