প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে প্রথম বারের মতো করোনা যোদ্ধাদের N95 বা সমমানের মাস্ক এর ফিট টেস্ট করা হয়।
ব্যক্তির ফুসফুসকে জীবাণু বা দূষিত বাতাস থেকে দূরে রাখতে মাস্ক সঠিক ভাবে কাজ কিনা তা পরীক্ষা করতেই ফিট টেস্ট করা হয়।
N95 বা সমমানের মাস্কের কার্যকারিতা নির্ভর করে সেই মাস্ক বা রেস্পিরেটর কিভাবে মুখের সাথে সেঁটে আছে তার উপর । এটা এমনভাবে থাকা উচিত যেন বাতাস মাস্কের ফিলটার ছাড়া অন্য কোনভাবে ঢুকতে না পারে। অর্থাৎ যেন কোন লিক না থাকে । সেটা সত্যি সত্যি কাজ করছে কি না দেখার জন্য মাস্কের মডেল বাছাইয়ের আগে একটা টেস্ট করা হয় যেটার নাম “ফিট টেস্ট”। অর্থাৎ যদি মাস্কের সেই মডেল পুরোপুরি সেঁটে থাকে তাহল সেই মডেল ফিট, না হলে অন্য মডেল বা অন্য মাস্ক বা রেস্পিরেটর দেখতে হবে কোনটা “ফিট” হয়।
আমেরিকায় এই টেস্ট করে মূলত 3M। কানাডায় তাদের কিট দিয়ে, তাদের প্রশিক্ষিত জনবল এই টেস্ট করে।
বাংলাদেশে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলি ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জামিলুর রহমান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এর দায়িত্বে থাকা ডা. মোস্তাফা কামাল নূপুর এর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে প্রথমবারের মতো এই “ফিট টেস্ট” হয়ে থাকে।
টেস্টের ফলাফল বি ডি ই এম আর – এর সফটওয়্যারে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই ডা. নূপুরের তথ্যবধানে প্রকাশ করা হবে।
তথ্যসূত্র:
ডা. অসিত বর্ধন
রা মে ক ২৫