উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দিতে রাজি না হওয়ায় নেতাকর্মীদের হামলায় তিনটি দাঁত হারালেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক।
গত রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস রুমে এই ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার আবদুল্লাহ আল মামুন নামে ওই চিকিৎসক রবিবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ রানা শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে । অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
তেরখাদা থানা সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন রবিবার রাত ৯টার দিকে অফিসে দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক এসে জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম ওহিদুজ্জামানের স্ত্রী অসুস্থ।এ জন্য তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসায় গিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হবে। ডা. মামুন এমার্জেন্সি বিভাগে ডিউটিরত থাকায় বাসায় যাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে অন্য এক সহকারীকে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পাঠান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের ভেতরেই তাকে বেদমভাবে প্রহার করেন। এ সময় তাদের কিল-ঘুষিতে ডা. মামুনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ডা. মামুন তেরখাদা থানায় গিয়ে ওহিদুজ্জামানসহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে তেরখাদা থানার এসআই আহসান হাবিব বলেন, মামলার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে রানা শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক